কলকাতা: এবার পাঠ্যবইয়ে (NCERT Books) দেশের নাম বদল নিয়েও জল্পনা শুরু হল। যা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। জানা গিয়েছে, পাঠ্যবইয়ে দেশের নাম India লেখার পরিবর্তে, Bharat রাখার দাবিতে বেশ কয়েক মাস আগেই জমা পড়েছিল। এতদিনে অনুমোদন মিলল তাতে। 


কী বলছেন বিরোধীরা?


রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, “জুজুর ভয়ের মতো মনে হচ্ছে। হাস্যকর সিদ্ধান্ত। ইন্ডিয়া জোটকে ভয় পেয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “মানুষের সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। এগুলো করার মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদী মানসিকতার জন্ম দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’’ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায়, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বা টেগোর বললে কি যায় আসে? নামে কি যায় আসে? কিন্তু RSS, বিজেপি সবটাই হিন্দুআইজেশন করতে চায়।’’

নাম বদল নিয়েও জল্পনা শুরু : পাঠ্যবইয়েও এবার দেশের নাম পরিবর্তন। ইংরেজিতে India লেখার পরিবর্তে, লেখা হল Bharat. ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (NCERT) সর্বসম্মতিতে অনুমোদন দিল তাতে (NCERT Books)। NCERT প্য়ানেলের সদস্য় CI আইজ্যাক বিষয়টি খোলসা করেছেন। জানিয়েছেন প্যানেলের সব সদস্য প্রস্তাবে সম্মতি জানান। তাই NCERT-সব বইয়ে দেশের নাম India লেখার পরিবর্তে, Bharat লেখা হবে কিনা, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। (India vs Bharat)। যদিও, এনসিইআরটির দাবি প্যানেলের সুপারিশ নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ  সুভাষ সরকার বলেন, “২৫টা বিষয়ে ফোকাস করেছে NCERT। তাতে কেউ কেউ এই প্রস্তাব দিয়েছে। যে ইন্ডিয়ার জায়গাতে ভারত আসুক। কিন্তু তাতে এখনও হইচই করার মতো কিছু হয়নি। NCERT এখনও সম্মতি দেয়নি। বিশেষজ্ঞ কমিটি বসে বিবেচন করবে।’’


NCERT-র নির্দেশিকা মেনে এর আগে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমেও বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। কোনও শ্রেণিতে মুঘল যুগ বাদ পড়েছে। কোথাও ডারউইনের বিবর্তনবাদ। কোথাও নারী আন্দোলনের ইতিহাস। যা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তবে শুধু দেশের নাম পরিবর্তনই নয়, পাঠ্যবইয়ে হিন্দুদের বিজয় আখ্যান তুলে ধরার পক্ষেও জোর দিয়েছে NCERT. পাঠ্যবইয়ে প্রাচীন ইতিহাসের পরিবর্তে 'উৎকৃষ্ট ইতিহাস' তুলে ধরতে বলা হয়েছে। আইজ্যাক জানিয়েছেন, প্রাচীন, মধ্য এবং আধুনিক, আর এই তিন ভাগে ইতিহাসবে ভাঙা হবে না। ইংরেজরা ওই কাজ করে গিয়েছিলেন, তাতে ভারতের অন্ধকার দিকগুলি, বৈজ্ঞানিক অসচেতনতাই ফুটে উঠেছিল। স্কুলের প্রত্যেকটি বিষয়ে Indian Knowledge System (IKS)-এর অন্তর্ভুক্তির সুপারিশও করেছে NCERT প্যানেল।