কলকাতা: সরকারের পতনের পর নেপালের শাসনভার নিল সেনা। জানানো হয়েছে পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত গঠন হওয়া পর্যন্ত দেশের নিয়ন্ত্রণ সেনার হাতেই থাকবে। জারি করা হয়েছে কার্ফু।                                           

সোম আর মঙ্গলবার, দু'দিনের গণবিদ্রোহের জেরে পতন হয়েছে নেপালের ওলি সরকারের। কিন্তু এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি আর দেশজুড়ে লুঠতরাজ-আগুন-জেল ভাঙা এসবের মধ্যেই নেপালের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী পরবর্তী সরকার তৈরি না হওয়া পর্যন্ত নেপালের শাসনভার থাকবে তাদেরই হাতে। জারি হয়েছে কার্ফু।

বিভিন্ন রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি ভবনের বাইরে বিভিন্ন জেল, পশুপতিনাথ মন্দির চত্বর থেকে ভারতীয় দূতাবাস, সর্বত্র মোতায়েন রয়েছে সেনা।                                                  

গ্রাউন্ড জিরো থেকে সমস্ত ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে এবিপি আনন্দর ক্যামেরায়। মঙ্গলবার রাতেই নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় সেনা। আন্দোলনের নামে অরাজকতা চলবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা। কার্ফু জারি ও নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নেপালি সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, অপরাধমূলক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সবার কাছে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। যেহেতু বিভিন্ন আইন অমান্যকারী ব্যক্তি ও গোষ্ঠী আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুঠপাট, মানুষের উপর হামলা এবং ধর্ষণের চেষ্টা করছে, তাই দেশের সামগ্রিক শান্তি ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কার্ফু জারি থাকবে।                      

নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেল বলেন, 'বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় এবং ঐতিহাসিক সম্পদ, সর্বজনীন ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট না করে, মিত্র রাষ্ট্রের প্রতিনিধি ও নাগরিকের সুরক্ষা বজায় রাখতে হবে। রাষ্ট্রের ভাবমূর্তির ক্ষতি করলে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।'          

 

অর্থাৎ পরিস্থিতির নিরিখে এই মুহূর্তে নেপালের সবচেয়ে শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্য়াক্তি হলেন সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগডেল!