নয়া দিল্লি : নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় (Nepal Plane Crash) ইতিমধ্যেই ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে ৫ জন ভারতীয়-সহ ১২ জন বিদেশি ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে নেপাল এয়ার অফিসিয়াল। তাদের তরফে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট বিমানে ৫ জন ভারতীয়, রাশিয়ার ৪ জন, একজন আইরিশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার দুই নাগরিক ছিলেন। 


৭২ আসনের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে ৬৮ জন যাত্রী ছাড়াও ৪ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ২ শিশুও ছিল। এদিন সকাল ১০টা ৩২-এ কাঠমাণ্ডু থেকে ওড়ে পোখরাগামী বিমানটি। অবতরণের আগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেইসময় বিমানটি ৩২ হাজার ফুট ওপরে ছিল। বিমান চালক ATC-র সিগনাল পাওয়ার পর, বিমানটি আচমকা দ্রুত গতিতে নীচে নেমে আসে। ভেঙে পড়ার পর বিমানে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুমে যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। 


ঘটনার পর ভারতে থাকা নেপালের দূতের তরফে শোকপ্রকাশ করে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ৭২ জন যাত্রী ও ক্রু মেম্বার বহনকারী বিমানের দুর্ঘটনার খবর গভীরভাবে ব্যথিত। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে কয়েকজন ভারতীয়ও ছিলেন। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। যাঁরা এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের জন্য প্রার্থনা জানাই।


পুরনো ও নতুন বিমানবন্দরের মাঝে ভেঙে পড়ে বিমানটি। দুর্ঘটনাস্থল পশ্চিম নেপালে অবস্থিত। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে সেটি জোড়া ইঞ্জিনের ATR 72 বিমান। নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অফ নেপাল (CAAN) জানিয়েছে, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের 9AN-ANC ATR-72 কাঠমান্ডু থেকে সাড়ে দশটা নাগাদ উড়ান দিয়েছিল। পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল বিমানটির। সেটিই সেতি নদীর পাশে ভেঙে পড়ে। বিমানটি অবতরণের আগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেইসময় বিমানটি ৩২ হাজার ফুট ওপরে ছিল। বিমান চালক ATC-র সিগনাল পাওয়ার পর, বিমানটি আচমকা দ্রুত গতিতে নীচে নেমে আসে। ভেঙে পড়ার পর বিমানে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুমে যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পোখরা বিমানবন্দর থেকে উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।  


আরও পড়ুন ; মাঝপথে ভেঙে পড়ল বিমান, ভয়াবহ দুর্ঘটনা নেপালে