নয়াদিল্লি: নতুন সংশোধিত মানচিত্রকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে, বিতর্কিত মানচিত্রে ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করেছে নেপাল। এবার পড়শী দেশটি সংশোধিত ম্যাপটিকেই ভারত, রাষ্ট্রপুঞ্জ, গুগল ও আন্তর্জাতিক মহলকে পাঠাবে বলে জানা গিয়েছে। তাতে কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরার মতো ভারতীয় ভূখণ্ডকে নেপালের অংশ বলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগস্টের মাঝামাঝি নেপাল এই মানচিত্র পাঠাবে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন দেশের ভূমি পরিচালন সংক্রান্ত মন্ত্রী পদ্ম আরিয়াল।
নেপালের স্থানীয় মিডিয়ার খবর, নেপাল সরকার ইংরেজিতে সংশোধিত মানচিত্রটি ছাপানোর বন্দোবস্ত করছে যাতে সেটি আন্তর্জাতিক মহলে পাঠানো যায়। ইতিমধ্যে তার ২৫ হাজার কপি ছাপানোও হয়ে গিয়েছে, যা প্রাদেশিক ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বিলি করা হবে।
প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ চলতি বছরের মে মাসে ৮০ কিমি দীর্ঘ কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তার সূচনা করেন, যা লিপুলেখ পাসকে উত্তরাখন্ডের ধরচুলার সঙ্গে যুক্ত করেছে। জুন মাসেই নেপাল পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ বা ন্য়াশনাল অ্যাসেম্বলি সর্বসম্মতিক্রমে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করে যাতে দেশের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রকে তাদের জাতীয় প্রতীকে অন্তর্ভূক্ত করা যায়। এ নিয়ে নেপাল-ভারত সম্পর্কে চিড় ধরে।
গত শুক্রবারই নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গাওয়ালি সীমান্ত বিরোধের মীমাংসায় আলাপ-আলোচনা শুরুর জন্য ভারতকে আবেদন করেন, পাশাপাশি অভিযোগও করেন যে,নয়াদিল্লি কাঠমান্ডুর এই ইস্যুতে আলোচনার আবেদনে কর্ণপাত করছে না।
১৯৪৭-এ নেপালি গোর্খা সৈন্যদের রিক্রুট করার ব্যাপারে ভারত, নেপাল ও ব্রিটেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তিকেও ‘অচল’ তকমা দেন তিনি।