নয়াদিল্লি: নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটির শীর্ষে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কীভাবে উদযাপন করা হবে নেতাজির জন্মজয়ন্তী, সারা বছরের সেই পরিকল্পনা করবেন কমিটির সদস্যরা। শনিবার এই কথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।

সংস্কৃতি মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, চলতি বছর ২৩ জানুয়ারি থেকেই কর্মসূচির সূচনা হবে। বছরভর কীভাবে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৮৫ জনের কমিটিতে আছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। একইসঙ্গে আছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের মতো  কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। আছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরীরা।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বাংলার বিজেপি সাংসদরাও এই কমিটিতে আছেন। এছাড়াও আছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কমিটিতে আছেন মিঠুন চক্রবর্তী। থাকবেন এ আর রহমান, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়রা। কমিটিতে রাখা হয়েছে জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী, অরূপ রাহাদের। পাশাপাশি কমিটিতে আছেন নেতাজির পরিবারের সদস্যরাও। একইসঙ্গে আছেন আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিরা। দিল্লি, কলকাতা সহ নেতাজির সঙ্গে সম্পর্কিত জায়গায় কীভাবে তাঁর স্মরণে অনুষ্ঠান করা যায় সেই বিষয়ে গাইডলাইন মানবে এই কমিটি।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ২৩ জানুয়ারি আগেই জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত সোমবারই নবান্নে ভার্চুয়াল বৈঠকে নেতাজির জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। , ‘আজাদ হিন্দ বাহিনী’ মনুমেন্ট তৈরি ও নেতাজির নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিধানসভা ভোটের আগে এবার নেতাজির জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন নিয়ে আসরে নামল কেন্দ্রও। কমিটি গঠনের পাশাপাশি কলকাতাতেও আসতে পারেন মোদি। শোনা যাচ্ছে, নেতাজির জন্মদিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, আগামী ২৩ জানুয়ারি কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে ভাষণ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।