নয়া দিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে নেতাজির ট্যাবলো বাতিল ইস্যুতে মুখ খুললেন নেতাজি-কন্যা অনিতা বসু পাফ। কোন পরিস্থিতিতে এই ট্যাবলো অন্তর্ভুক্ত করা হল না, তা জানি না। এটা খুব অদ্ভুত। প্রতিক্রিয়া নেতাজি-কন্যার।
নেতাজির ট্যাবলো ইস্যুতে মোদি সরকারের অস্বস্তি বাড়ল! এবার মুখ খুললেন খোদ নেতাজি-কন্যা। গত বছর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে কলকাতায় একমঞ্চে দেখা গেছিল প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীকে। আর, এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত নেতাজি ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা INA বিষয়ক ট্যাবলো বাদ দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই টানাপোড়েনের আবহে, এ’নিয়ে মুখ খুললেন নেতাজি-কন্যা অনিতা বসু পাফ।জার্মানি থেকে সংবাদ সংস্থা PTI’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমি এটা শুনেছি। জানি না কি পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং কেন ট্যাবলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কিছু কারণ থাকতে পারে। আমার বাবার ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী, আর এ’বছরই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ট্যাবলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এটা খুব অদ্ভুত বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক কারণে কখনও কখনও কিংবদন্তী স্বাধীনতা সংগ্রামীর ঐতিহ্যকে আংশিকভাবে ব্যবহার করা হয়। অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নেতাজি কন্যা এও বলেছেন, গত বছর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীর (সুভাষচন্দ্র বসু) উদ্বোধন কলকাতার সব জায়গায় খুব বড় করে উদযাপন করা হয়েছিল। তখন বাংলায় নির্বাচন ছিল। এ’বছর সে রকম কিছু নেই। তাই হয়তো বিষয়টি আর গত বছরের মতো গুরুত্বপূর্ণ নয়।
নেতাজির ১২৫ তম জন্ম-জয়ন্তী পালনের জন্য একটি কমিটি তৈরি করেছিল মোদি সরকার। এ’বিষয়ে নেতাজি-কন্যা বলেন, আমায় যে কমিটির সদস্য করা হয়েছিল, আমি কখনও শুনিনি সেই কমিটি একটি বৈঠকও করেছে বা লিখিতভাবে যোগাযোগ করেছে। আমি যতদূর জানি, কোনও বৈঠক হয়নি। আমার জন্য, এটি একটি অস্তিত্বহীন কমিটি।
একইসঙ্গে ফের একবার, জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রাখা অস্থিভস্মের DNA পরীক্ষারও দাবি করেছেন তিনি। নেতাজি কন্যা বলেছেন, আমি দেহাবশেষ ভারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু, অনেক বাধা রয়েছে। আমার মনে হয় DNA পরীক্ষা করা উচিত। DNA পরীক্ষা করলেই সত্যি বেরিয়ে আসবে।
এদিকে, ট্যাবলো বাতিল প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে দাবি, মোদি সরকার নয়, প্রজাতন্ত্র দিবসে কোন ট্যাবলো অংশগ্রহণ করবে, তা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ বছর মোট ৫৬টি ট্যাবলোর আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ২১টি। কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গের মতো একাধিক রাজ্যের আবেদন বাতিল হয়েছে। পাশাপাশি সূত্রটি জানিয়েছে, এবছর কেন্দ্রীয় সরকারের Central Public Works Department-এর ট্যাবলোয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রসঙ্গ রয়েছে। ফলে তাঁকে অপমান করার কোনও প্রশ্নই উঠছে না।