বেঙ্গালুরু: শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের মরশুম। আর এরই মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। ভারতে এখনও তার দেখা না মিললেও, বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করছে রাজ্যগুলি। এই আবহে এবার নৈশকালীন কার্ফু ঘোষণা করল কর্নাটক সরকার। রাজ্য সরকার জানিয়েছে আগামী বছর ২ জানুয়ারি পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা নৈশকালীন কার্ফু জারি থাকবে।


রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের পাওয়া গিয়েছে। এই সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাই আজ থেকে আগামী বছর ২ জানুয়ারি পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা নৈশকালীন কার্ফু জারি করা হয়েছে। আমি প্রত্যেকের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. কে সুধাকর বলেন, করোনার চেন ভাঙার জন্য নৈশকালীন কার্ফু জারি করা হয়েছে। কারণ ব্রিটেনে করোনার নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। আমরাও সবসময় পর্যবেক্ষণ করছি। আন্তর্জাতিক বিমানেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

ব্রিটেনে ভাইরাসের যে স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে তা অন্য স্ট্রেনের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি ক্ষতিকারক। সূত্রের খবর, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কেরল, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, হরিয়ানায় আক্রান্তের হার ৭৫ শতাংশ। মৃত্যুহার সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। দৈনিক সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি ছত্তিশগড়, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কেরল, উত্তরপ্রদেশে।

ইতিমধ্যে ব্রিটেন থেকে সব বিমান পরিষেবা বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে পরিষেবা। ডা. কে সুধাকর বলেন, প্রাথমিকভাবে ব্রিটেন জানিয়েছে, অন্য স্ট্রেনের তুলনায় সংক্রমণ ছড়ানোর হার বেশি। তবে এতে মৃত্যুহার বাড়বে তা প্রমাণিত হয়নি। গত কয়েকদিনে যারা বিদেশ থেকে ফিরেছেন তাঁদের জন্য বিমানবন্দরে কিয়স্ক তৈরি করেছে প্রশাসন। সরকার সাফ জানিয়েছে, হোটেল, পাব, রিসর্টগুলি নিষেধাজ্ঞা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।