কলকাতা: করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে রক্তচাপ বাড়ল কেরলে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ৮ ডিসেম্বর নভেল করোনাভাইরাসের JN.1 সাব ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত এক বৃদ্ধার খোঁজ মেলে। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুস্থতা ছিল ৭৯ বছরের ওই বৃদ্ধার। ১৮ নভেম্বর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। তখনই ধরা পড়ে কোভিড-১৯-র  JN.1 সাব ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত ওই বৃদ্ধা। গত সেপ্টেম্বরে, আমেরিকায় প্রথম এই সাব ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত ব্যক্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। আদতে 'BA.2.86' ভ্যারিয়্যান্টটির উত্তরসূরি এটি, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 


কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, কেরলের ওই বাসিন্দার আগেও এক ভারতীয়ের দেহে ওই সাব ভ্যারিয়্যান্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। আদতে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লির বাসিন্দা, গত ২৫ অক্টোবর সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। তবে তার পর থেকে তিরুচিরাপল্লি বা তামিলনাড়ুর অন্য কোথাও সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে বলে জানা যায়নি। সাব ভ্যারিয়্য়ান্টে আক্রান্ত কেরলের ওই বাসিন্দা যেখানে থাকেন, সেই এলাকায় ইতিমধ্য়ে নজরদারি চালাচ্ছে India SARS-CoV-2 Genomics Consortium বা INSACOG। তার প্রধান, এন কে অরোরা সংবাদসংস্থা এএনআই কে বলেন, 'ভারতে কড়া নজরদারি চলছে। তাই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা অসুস্থতার বাড়াবাড়ি কোনওটিই এখনও পর্যন্ত হয়নি।'
যদিও ডাক্তারদের অন্য একটি অংশের মতে, প্রায় মাসসাতেক পর ফের এ দেশে করোনা-সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। কেরলেও কোভিড-১৯ আক্রান্তের হদিস পাওয়া যাচ্ছে। তবে তাঁদের অসুস্থতার তীব্রতা আগের মতোই, জানাচ্ছেন ডাক্তাররা। 


আর যা...
জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখা যাচ্ছে, গত এপ্রিল পর্যন্ত 'XBB' উপগোষ্ঠীর ভাইরাল স্ট্রেনই মূলত দাপট দেখিয়েছে। ডিসেম্বরের জিনোম সিকোয়েন্সিয়ের রিপোর্ট এখনও আসছে। তবে আপাতত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে কেরলে JN.1 সাব ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। বিশেষজ্ঞদের কারও কারও মতে, এই স্ট্রেন দ্রুত ছড়াতে পারে। 'XBB' উপগোষ্ঠীর থেকে বেশ কিছুটা আলাদা এটি। ফলে অতীতে 'XBB' উপগোষ্ঠীর স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়ে থাকলেও ফের এই স্ট্রেন হামলা চালাতে পারে, আশঙ্কা ডাক্তারদের একাংশের। পশ্চিমি দেশগুলিতে ইতিমধ্যে এই সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিনে JN.1 সাব ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ৭। আন্তর্জাতিক সফরে বাধা না থাকায় ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের দৃঢ় যোগাযোগ রয়েছে। সে দিক থেকে এই সংক্রমণ এ দেশেও মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়, মনে করছেন ডাক্তারদের একটি অংশ। তবে অন্য অংশের মতে, একেবারে হালে যে প্রতিষেধক ব্যবহার করা হচ্ছে তা ঠিকঠাক নেওয়া থাকলে এই সাব ভ্যারিয়্যান্ট থেকে সুরক্ষা প্রায় নিশ্চিত।


আরও পড়ুন:মহারাষ্ট্র-তেলঙ্গানায় বাড়ছে 'মাম্পস'-র দাপট, খুদে সদস্যকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাবেন কী ভাবে?