নয়া দিল্লি: করোনাভাইরাস যখন ২০২০ এর শুরুতে গ্রাস করে ফেলেছিল বিশ্বকে। সেই সময়ই বলা হয়েছিল এইচআইভির মতোই এই করোনাভাইরাস আরএনএ ভাইরাস। তাই একাধিক বার মিউটেশন ঘটিয়েছে করোনা। হয়ে ওঠেছে আরও সংক্রামক। তেমনই ইউরোপে এবার ছড়িয়ে পড়ল আরএনএ ভাইরাস এইচআইভি'র নয়া মিউটেটেড রূপ।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এইচআইভি ভাইরাসের মিউটেশনের পর এই রূপটি দেহে প্রবেশ করে ভাইরাল কণা হিসেবে নিজের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে। CD4 T কোষ নামক রোগ প্রতিরোধক কোষের সংখ্যাও কমিয়ে দেয় দেহে। তাই সংক্রামিত ব্যক্তিদের অনেক বেশি দ্রুত এইডস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আর যেভাবে ইউরোপে মূলত নেদারল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি হয়েছে।
যদিও এখন জনস্বাস্থ্য সঙ্কটে পড়েনি বলেই জানান হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি অফ সান দিয়েগোর জীববিজ্ঞানী এবং এপিডেমিওলজিস্ট জোয়েল ওয়ারথেইম বলেছেন, নতুন রূপটি বিশ্বে থাকা এইচআইভি ওষুধে কাজ করে না। তাই এটি নিয়ে এখন নতুন করে ফের গবেষণা করছে। এইচআইভি সবচেয়ে দ্রুত-পরিবর্তনকারী ভাইরাসগুলির মধ্যে একটি।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সংক্রমিত ব্যক্তিদের রক্তে ৫.৫ গুণ বেশি ভাইরাস ছিল এবং তাদের দেহে CD4 T কোষগুলি প্রায় দ্বিগুণ দ্রুততার সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে। এইচআইভির দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। জিনোম সিকোয়েন্স ব্যবহার করে, গবেষকরা ভাইরাসটি কত দ্রুত ছড়িয়েছে তা নির্ধারণ করছেন।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল এইচআইভি, হেপাটাইটিস এবং সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন প্রোগ্রামের মেগ ডোহার্টি বলেছেন, "আমরা এই নতুন রূপটি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নই।" তবে নজরদারির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। ডারবান-ভিত্তিক সেন্টার ফর দ্য এইডস প্রোগ্রাম অফ রিসার্চ ইন সাউথ আফ্রিকার ডিরেক্টর সেলিম আব্দুল করিম জানিয়েছেন, "সংক্রমিত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করা এবং তাড়াতাড়ি চিকিত্সা শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ।"