নয়াদিল্লি: ভয়াবহতা কাটিয়ে ওঠা গলেও নোভেল করোনাভাইরাসের চোখরাঙানি বন্ধ হয়নি। আবারও নতুন করে চরিত্রবদল করেছে যেমন, তেমনই করোনা পরবর্তী সমস্যাও লেগে রয়েছে রোগীদের মধ্যে। সেই আবহেই উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান সামনে এল। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল যাঁদের, ছাড়া পাওয়ার এক বছরের মধ্যে তাঁদের মধ্যে ৬.৫ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি গবেষকদের। (Novel Coronavirus)
Indian Council of Medical Research (ICMR)-এর ছত্রছায়ায় থাকা দেশের একাধিক হাসপাতালের নেটওয়র্ক এই গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। ৩১টি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত ১৪ হাজার ৪১৯ রোগীর সংক্রমণ এবং তার পরবর্তী সমস্যা সংক্রান্ত নথিপত্র ঘেঁটে দেখা হয়। তাতে করোনা থেকে সেরে উঠে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এক বছরের মধ্যে এবং তার কিছু পর পরই বহু রোগী মারা যান বলে জানা গিয়েছে। (COVID Deaths)
ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালে সেপ্টেম্বর থেকে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৭.১ শতাংশের মধ্যেই করোনা পরবর্তী সমস্যা দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আমেরিকার CDC যেখানে দীর্ঘমেয়াদি কোভিড বা 'লং কোভিড' বলে ব্য়াখ্যা করেছে এই অসুস্থতাকে, সেদিকে ঘেঁষেননি ভারতীয় গবেষকরা।
আরও পড়ুন: GST: এক কোটি টাকা পুরস্কার দেবে সরকার, শুধু করতে হবে এই কাজ
তবে করোনা পরবর্তী স্বাস্থ্যজনিত যে সমস্ত সমস্যা দেখা দেয়, তার মধ্যে ক্লান্তিভাব, শ্বাসকষ্ট, অস্বাভাবিক আচরণ, আচমকা বিস্মৃত হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গগুলিকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার এক বছরের মধ্যে যাঁরা মারা যান, সে ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত সমস্যা, ভাইরাসের হানায় অঙ্গের ক্ষতি এবং ফুসফুসের আবরণী রক্তনালির অকার্যকর হওয়াকেই কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার এক বছরের মধ্যে মারা গিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে পুরুষের সংখ্য়াই বেশি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বিশেষ করে যাঁদের বয়স ৬০-এর ঊর্ধ্বে। কোমর্বিডিটিও ছিল অনেকের। তবে করোনার একটি টিকাও নিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি একধাক্কায় ৪০ শতাংশ কমে যায় বলে জানানো হয়েছে। তবে করোনায় গুরুতর বা অতি সঙ্কটজনক পরিস্থিতি হয় যাঁদের, তাঁদের নিয়েই এই গবেষণা। হালকা উপসর্গ ছিল যাঁদের, তেমন গুরুতর অবস্থা হয়নি, বাদ রাখা হয়েছে তাঁদের।