বিটন চক্রবর্তী, পাঁশকুড়া : করোনায় আক্রান্ত সদ্যোজাত। টানা ছয় দিন চিকিৎসার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে সে। পাঁশকুড়ার সদ্যোজাতর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে চিন্তা বেড়েছে চিকিৎসক মহলের। কারণ, তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রূকূটি রয়েছে।


১৭ জুন মেচাদার একটি নার্সিংহোমে জন্ম হয় ওই পুত্রসন্তানের। জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিল সে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা যথেষ্ট কম ছিল। শিশুটিকে কোলাঘাটে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রবীর ভৌমিকের কাছে নিয়ে যায় পরিবার। এক্স রে করার পর ফুসফুসে কিছু একটা দেখতে পান চিকিৎসক ভৌমিক। আশঙ্কামতো তার কোভিড টেস্ট করানো হয়। সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।


কিন্তু করোনা রিপোর্ট না এলেও চিকিৎসা করে গেছেন ডাক্তারবাবুরা। অবশেষে সেই সদ্যোজাত কিছুটা সুস্থ হওয়ায় আজকে তাকে মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়েছে। ছেলে কোলে পেয়ে খুশি মা-বাবা।


করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে হিমসিম অবস্থা। তার মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে মারণ ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের আশঙ্কা, তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা আগের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আগাম সতর্কতার পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। আগেই বেশ কয়েকটি জেলা প্রশাসন নিজের মতো করে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। 


গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ঢেলে সাজানো হচ্ছে শিশুদের করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ৩ মাস থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য তৈরি করা হবে ১০ হাজার  কোভিড বেড। এই বিশেষ শয্যা সহ চিকিৎসার ব্যবস্থা তৈরি করা হবে রাজ্যের কোভিড হাসপাতালে। সদ্যোজাত থেকে ৩ মাস বয়সীদের করোনা চিকিৎসায় রাখা হচ্ছে ৩৫০ এসএনসিইউ। শিশুদের করোনা চিকিৎসার জন্য রাখা হচ্ছে ১৩০০টি পিআইসিইউ। রাজ্যে ৯১টি সরকারি হাসপাতালে গড়ে তোলা হবে এই ইউনিট। পাশাপাশি ৭০টি সরকারি হাসপাতালে গড়ে তোলা হবে ৩৫০ এসএনসিইউ।


এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বার বার সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলছেন।