অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে মালদাতেও। এবার সেখানে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গেলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। আজ তাঁরা সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন।


আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মালদায় এসেছেন  কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিরেক্টরের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। শুক্রবার বিভিন্ন থানার ওসি, আইসি এবং অফিসারদের তলব করেছেন কমিশনের ডিরেক্টর। সকাল দশটা নাগাদ ইংরেজবাজার থানা, মালদা থানা, গাজোল থানা, মোথাবাড়ি থানা, হবিবপুর থানা, বৈষ্ণবনগর থানা এবং কালিয়াচক থানার আইসি, ওসি, ডিএসপি ও অ্যাডিশনাল এসপিকে ডাকা হয়েছে বৈঠকে। সেখানেই চলছে ম্যারাথন বৈঠক।


বিভিন্ন থানা এলাকায় যে সব হিংসার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ জানিয়েও বিচার পাননি, এমন অভিযোগকারীরাও এসেছেন। তাঁদেরও পুরো বক্তব্য শুনবেন কমিশনের প্রতিনিধিরা।


গতকালই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। চোপড়ার ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের গুয়াবাড়ি গ্রামে কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যায়।


কিছুদিন আগেই চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নামে পোস্টার দেখা যায়। এই পোস্টারে রাজবংশীদের উপর অত্যাচার বন্ধের দাবি জানিয়ে শাসক দলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কেএলও-র নামে পোস্টার পড়লেও এর পিছনে বিজেপির চক্রান্ত দেখছে তৃণমূল।


প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে। তারা এরাজ্যে এসে গোটা প্রক্রিয়াটা অনুসন্ধান করে দেখে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবে। সেই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে এই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের কাছেই দিনকয়েক আগে আবেদন করা হয়েছিল। যদিও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন মন্তব্য করেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে ৫৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অথচ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে একটিও অভিযোগ জমা পড়েনি...এমনটা কেন হবে ?