নয়াদিল্লি: ট্যুইটারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা নেই। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে যে এই মাইক্রো-ব্লগিং সাইট নতুন আইটি বিধি লঙ্ঘন করলে কেন্দ্র তার বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে। বিচারপতি রেখা পল্লীর বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, এটা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যে এই আদালত কোনও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ পাশ করেনি। সুতরাং এই আদালত আরেক উত্তরদাতাকে (Twitter Inc) কে হলফনামা দাখিল করার জন্য সময় দিয়েছে, কোনও সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। আদালত আরও যোগ করেছে যে, বিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রের পথ খোলা রয়েছে।


ট্যুইটারের পক্ষ থেকে হয়ে আইনজীবী সাজান পূবায়া জানিয়েছেন যে, এটা কোনও সুরক্ষা চাওয়া হচ্ছে না। তিনি আরও যোগ করেন যে অমান্য করার পরিণতি হল মধ্যস্থতাকারীদের সুরক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। ট্যুইটারে Inc-র একজন উপযুক্ত কর্মকর্তার নোটারিড এফিডেভিট দাখিল করার জন্য আদালত ট্যুইটারকে দুই সপ্তাহের সময়ও মঞ্জুর করেন। আদালতকে ট্যুইটার জানিয়েছিল যে, একজন অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার (সিসিও) ইতিমধ্যেই নিয়োগ করা হয়েছে। এরপরে জুলাইয়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন অভিযোগকারী কর্মকর্তা (আরজিও) নিয়োগ করবেন এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তী নোডাল কনট্যাক্ট অফিসার নিয়োগ করা হবে। উচ্চ আদালত টুইটারকে নির্দেশ দিয়েছিল যে,  নতুন আইটি নিয়ম মেনে কবে তারা কোনও নিয়োগ করবে তা জানাতে হবে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে।


আদালত এই প্রসঙ্গে জানায় যে, নতুন আইটি বিধি মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্টদের উপর দায়িত্ব কমানো হবে না। পূবায়া দাবি করেছিলেন, যেহেতু ভারতে ট্যুইটারের নতুন অফিস তৈরির প্রক্রিয়া চলছিল, তাই তারা এখনও "স্থায়ী কর্মচারী" নিয়োগ করতে পারেনি। প্রসঙ্গত, এর আগে, ট্যুইটার দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছিল, নতুন আইটি বিধি মেনে একটি আরজিও এবং সিসিও নিয়োগ করতে আট সপ্তাহ সময় লাগবে। ভারতে একটি নতুন  অফিস তৈরির কাজ চলছে।