নয়াদিল্লি :করোনাভাইরাস মহামারী বিশ্বজুড়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। কোভিড -১৯ এর নতুন নতুন ঘটনা প্রতিদিন সামনে আসছে। একই সময়ে, করোনার কারণেও অনেক পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। এই পরিবর্তনের আওতায় শিক্ষা ক্ষেত্রেও বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, কোভিড -১৯-এর পরে অনলাইন শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন যে, এর অসুবিধাগুলি আগামী দিনেও দেখা যেতে পারে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ সমস্ত স্কুল কলেজ। বাচ্চা থেকে বড় প্রত্যেককেই পড়াশোনার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে অনলাইন ক্লাসের উপর। এই অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থার আওতায় শিশুদের বেশিরভাগ সময় স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সামনে কাটাতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন যে, পরবর্তীকালে শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়া (দূরদৃষ্টি) তৈরি করতে পারে। এটি বাচ্চাদের দৃষ্টিশক্তিকে প্রভাবিত করে। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, স্মার্টফোন সহজেই পাওয়া যায়, যার কারণে তারা অনলাইন ক্লাসে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের তুলনায় স্মার্টফোনই বেশি ব্যবহৃত হয়।
চিকিৎসকদের মতে, স্মার্টফোন শিশুদের দৃষ্টিশক্তির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এর ফলে শিশুদের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। তাই অনলাইনে পড়াশোনার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন যত কম ব্যবহার করা যায় তত ভালো। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, বড় স্ক্রিন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের ব্যবহার অনলাইনে পড়াশোনার জন্য আরও সঠিক। সম্ভব হলে টিভিও কাজের জন্য বা পড়াশোনার জন্য সংযুক্ত হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, স্ক্রিনটি চোখের কাছে রাখা, ঘরে কম আলো, ছোট ফন্ট, ছোট পর্দা, ভুলভাবে বসে থাকার মতো কারণে মায়োপিয়া (দূরদৃষ্টি) দেখা দিতে পারে।
এমন বহু সংখ্যক মানুষ রয়েছেন, যাঁদের পক্ষে দামী যন্ত্রাংশ কেনা সম্ভব নয় অনলাইন পড়াশোনার জন্য। সেক্ষেত্রে তাঁদের স্মার্টফোনের উপরই অনেকটা নির্ভর করে থাকতে হয়। ফলে এর একটা মারাত্মক প্রভাব পড়ছে শিশুদের চোখের স্বাস্থ্যে। তবু চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, শিশুদের অনলাইনে পড়াশোনার ক্ষেত্রে যত কম স্মার্টফোন ব্যবহার করা যায় তত ভাল।