হাইল্যান্ড পার্ক (ইলিনয়): বন্দুকবাজের হানায় ফের রক্তাক্ত আমেরিকা (usa)। স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে (independence day parade) গুলিচালনায় (firing) ঘটনায় অন্তত ছ'জনের প্রাণ গিয়েছে (dead) বলে জানাল ইলিনয় প্রশাসন। জখমের সংখ্যা নিদেনপক্ষে ৫৭। হামলাকারী ফেরার। 


কী ঘটনা?


     ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস। শিকাগোর উত্তর অংশের শহরতলি হাইল্যান্ড পার্কে কুচকাওয়াজ চলছিল। হঠাতই গুলির আওয়াজ। ইলিনয়ের লেক কাউন্টির শেরিফ টুইটারে লিখেছেন,'স্থানীয় একটি রিটেল স্টোরের ছাদ থেকে গুলি চালাতে শুরু করে বন্দুকবাজ। নিচে তখন নিচে কুচকাওয়াজ চলছে। গুলির লক্ষ্য তাঁরাই। '
   ঘটনার সময় মেয়েকে নিয়ে সেখানেই ছিলেন আমারানি গার্সিয়া নামে এক যুবতী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গুলির আওয়াজ শোনার পর কিছুক্ষণ তা থেমে ছিল। তার পর ফের শুরু হয়। মেয়েকে নিয়ে ছোট্ট একটি দোকানে লুকিয়ে ছিলেন আমারানি।    


ভাইরাল ভিডিও


  হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, গুলির আওয়াজ শুনতেই তুমুল হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। যে যেদিকে পারছেন পালাচ্ছেন। চিৎকার-চেঁচামেচিতে কান পাতা কঠিন। সকলেরই চোখেমুখে ভয়ের স্পষ্ট ছাপ। তবে ভিডিওটি আদৌ হাইল্যান্ড পার্কে গুলিচালনার কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।
  টুইটারে অবশ্য একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ ছড়িয়ে পড়ে অল্প সময়েই। শ্যানন ওয়াটস নামে এক চিকিৎসকের বক্তব্য, প্যারামেডিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত ৯ বছরের এক শিশুকে তিনিই পিসিআর দিয়েছেন। অন্তত দুজনকে অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর। 
প্রশাসনিক ভাবে অবশ্য কিছু বলা হয়নি। শুধু একটাই বার্তা, 'আশপাশে যাঁরা রয়েছেন, দ্রুত এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান। এখানে মোটেও নিরাপদ নয়।' 
   গত ২৪ মে টেক্সাসের উভালডের এলিমেন্টারি স্কুলে গুলি চালিয়ে ১৯ জন পড়ুয়া ও ২ শিক্ষককে খুন করেছিল বন্দুকবাজ। ওই মাসে আরও এক গুলিচালনার ঘটনা ঘটে নিউ ইয়র্কের বাফেলো-র মুদি দোকানে। তাতেও মারা যান ১০ জন। বস্তুত আগ্নেয়াস্ত্র হামলার মুখে প্রাণহানি মার্কিন মুলুকে বড় সমস্যা। এর জন্য অস্ত্র আইন নিয়ন্ত্রণ জরুরি, মনে করেন অনেকেই। কিন্তু শক্তিশালী গান-লবি বার বার আইন সংশোধনে বাধা দিয়েছে। 
   গুলি অবশ্য় এত রাজনীতি বোঝে না। রক্ত তাই ঝরছেই। 


আরও পড়ুন:ইউজিসি-নেটের প্রথম দফার নির্ঘণ্ট প্রকাশ এনটিএ-র