কোজ়িকোড় : থাবা চওড়া হচ্ছে ভয়ঙ্কর নিপা ভাইরাসের। কেরলে ( Kerala ) ২০১৮ সাল থেকে বেশ কয়েকবার এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। হিসেব বলছে ২০১৮ র পর এই নিয়ে ৪ বার নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ল এই রাজ্যে । চিন্তার বিষয় হল, এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক নেই। আর এতে আক্রান্ত হলে প্রাণনাশের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। নিপায় আক্রান্ত হলে ৭৫ শতাংশ মানুষ বাঁচে না।  

কেরলের কোজিকোড়ে ( Kerala's Kozhikode ) এবার নিপা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। এরপরই তড়িঘড়ি কোভিডকালের মতো কনটেইনমেন্ট জ়োন গুলি চিহ্নিত করে ঘিরে দিয়েছে প্রশাসন। ৯ টি পঞ্চায়েত এলাকায় এইরকম কনটেইনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে। নিপা সরাসরি মস্তিষ্কের ক্ষতি সাধন করে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণের রাজ্যে এর প্রকোপে প্রাণ গিয়েছে ২ জনের। তারপরই প্রশাসন সেই দুই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সব মানুষকে চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে। 


Nipah virus এ আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। তারপর শুরু হয় শ্বাসকষ্ট ও এনসেফেলাইটিস  (encephalitis )। জানা গিয়েছে, আরও ৫ জন এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। Nipah virus - সংক্রান্ত যে তথ্যগুলি পাওয়া গিয়েছে এখনও পর্যন্ত। 



  • যে দুজন নিপা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, তাদের বাড়িকে কেন্দ্র করে ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ ধরে কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। গত ৩০ অগাস্ট, ১১ সেপ্টেম্বর নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু ঘটে। 

  • প্রশাসনের তরফে পরীক্ষার জন্য National Institute of Virology তে পাঠানো হয়েছে আরও ১১ টি নমুনা। 

  • যদিও পিটিআই সূত্রে খবর, সেই নমুনাগুলি নেগেটিভ এসেছে। 

  • PTI সূত্রে খবর, high-risk contact list থেকে ১৫ টি নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।

  • .National Centre for Disease Control এর ৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল সেখানে রয়েছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। 

  • এরই মধ্যে Indian Council of Medical Research (ICMR) এর তরফে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে বিশেষ অ্যান্টিবডি monoclonal antibody । সেই রাজ্যের অনুরোধে এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে এই অ্যান্টিবডি পাঠিয়েছে আইসিএমআর। যদিও এর কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যায়নি এখনও। 

  • কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ ( Kerala health minister Veena George ) জানিয়েছেন, এই অ্যান্টিভাইরাসের কার্যকারিতা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে central expert committeeর সঙ্গে। 

  • এছাড়া সংক্রমিত এলাকায় একটি মোবাইল ল্যাবরেটরি পাঠানো হয়েছে নমুনা পরীক্ষার জন্য । 

  • কেরল সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। 

  • কেরলের পরিস্থিতি দেখে চিকিৎসকদের সতর্ক থাকতে বলেছে রাজস্থান সরকারও।