নয়াদিল্লি: হাথরসের গণধর্ষণের বলি মেয়ের হয়ে আদালতে মামলা লড়তে এগিয়ে এসেছেন ২০১২-র নির্ভয়াকাণ্ডের আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা। এজন্য তিনি একটি পয়সাও নেবেন না বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু শুরুতেই প্রবল বাধার মুখে পড়তে হল তাঁকে। তিনি গতকালই হাথরাস পৌঁছে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু তাঁর চেষ্টা ভেস্তে দিয়ে পুলিশ তাঁকে ওই পরিবারের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেয়নি। তবে তারপরও দমে না গিয়ে সীমা সাংবাদিকদের বলেন, পরিবারটির সঙ্গে দেখা না করে হাথরাস ছাড়ব না। ওঁরা আমায় আবেদন করেছেন যাতে ওঁদের হয়ে আইনি লড়াই চালাই। কিন্তু প্রশাসন আমায় ওঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতিই দেয়নি।
মেয়েটির ভাইয়ের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছেন সীমা। ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বরের রাতে নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক সহ ৬ জনের ধর্ষণে ক্ষতবিক্ষত প্যারামেডিকেল ছাত্রী কয়েকদিন বাদে সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে মারা যায়। নির্ভয়া নামে পরিচিতি পাওয়া মেয়েটির হয়ে মামলা লড়েন সীমা। চলতি বছরের মার্চে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তাঁর ধর্ষণ দোষী সাব্যস্ত, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকে। এরা হল অক্ষয় সিংহ ঠাকুর, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংহ।
হাথরাসের মেয়েটির ওপর গত ১৪ মার্চ যৌন নিগ্রহ হয় বলে অভিযোগ। গত মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ১৪ দিনের লড়াই থেমে যায় তাঁর। সোমবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্য়ালয় মেডিকেল কলেজ থেকে সেখানে আনা হয়েছিল তাঁকে। চার অভিযুক্তই গ্রেফতার হয়েছে। সরকার তিন সদস্যের সিট গড়েছে, ফাস্ট ট্র্য়াক আদালতে শুনানি হবে।
যদিও উত্তরপ্রদেশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার দিল্লির একদল ডাক্তারের করা পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে ঘাড়ে লাগা আঘাতের জেরে মেয়েটি মারা গিয়েছে, ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি করেছেন।