নয়াদিল্লি: আগামী ৫ জুলাই বাজেট পেশ। তার আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এক বৈঠকে কথা বললেন বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে। বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা তাঁদের চাহিদা ও পরামর্শ তুলে ধরেন কেন্দ্রের কাছে।
সরকারি সূত্রের খবর, অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদেরও বাজেট থেকে তাদের প্রত্যাশা জানানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সীতারমণ চান, এই বাজেট সাধারণ নাগরিকদের আশা-আকাঙ্খা পূর্ণ করুক। তাঁরাও এই বাজেটের বিষয়ে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করুক।
সূত্রের খবর, দিল্লি সরকারের তরফে দাবি করা হয়, এবারের বাজেটে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ থেকে তাদের বরাদ্দ বাড়িয়ে অন্তত ৬ হাজার কোটি টাকা করা হোক। গত ১৮ বছর ধরে দিল্লিকে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ থেকে ৩২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
গোয়ার অর্থমন্ত্রী প্রমোদ সাওন্ত রাজ্যের খনি ও পর্যটন বিভাগের উন্নতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রকে বিশেষ প্যাকেজ বরাদ্দ করার অনুরোধ জানান। তাছাড়াও ন্যাশনাল হাইওয়ে থেকে মোপা এয়ারপোর্ট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের খাতে আলাদা টাকা বরাদ্দ করার অনুরোধ জানান। এ-বিষয়ে একটি টুইটও করেছেন সাওন্ত।
অন্যদিকে ছত্তীসগঢ়ের তরফে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে। সে-রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল জানান,  কৃষকরা ঠিকমতো প্রধানমন্ত্রীর কিষাণ প্রকল্পের টাকা পান না। তাছাড়া বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাঘেল জানান, রাজ্যের সড়ক তৈরির জন্যও বেশি টাকা বরাদ্দ করা প্রয়োজন।
সীতারমণ বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের জন্য অর্থ বরাদ্দ আগের থেকে অনেক বেশি বেড়েছে। পূর্বের ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৪৪ কোটির থেকে বরাদ্দের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৪ কোটি। অর্থমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের দায়িত্ব দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে সঠিক দিশা দেখানো, আর রাজ্যের দায়িত্ব তার প্রয়োগ করা।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, এবার বাজেটে ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা হতে পারে। এবছর অর্থনীতির গতি শ্লথ হওয়ার জন্য কর সংগ্রহ কিছুটা কম হয়েছে। তাছড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বেশ কিছু উদ্দীপক পরিকল্পনাও নেওয়া প্রয়োজন।