২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজের তৃতীয় দফায় কেন্দ্র নজর দিল কৃষিতে। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষকরা যাতে তাঁদের পণ্যের আরও বেশি দাম পান তা নিশ্চিত করতে সংশোধিত হবে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আইন বা এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যাক্ট। শস্য, রান্নার তেল, তৈলবীজ, ডাল, পেঁয়াজ ও আলুর ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হচ্ছে। এগ্রিকালচার প্রোডিউস মার্কেট কমিটি-তে যাঁদের কাছে লাইসেন্স রয়েছে, শুধু তাঁদের কাছেই চাষীরা নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এর ফলে সব শস্য সর্বত্র পৌঁছয় না, চাষীরা ঠিকমত দামও পান না। অথচ অন্য আর কোনও ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। তাই প্রয়োজনীয় আইন আনা হবে, যাতে তাঁরা নিজেদের পছন্দমত বাজারে সঠিক দামে তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। পাশাপাশি অনলাইন শস্য ব্যবসাতেও উৎসাহ দেওয়া হবে। পাশাপাশি কৃষকরা যাতে সরাসরি স্বচ্ছভাবে প্রসেসর, অ্যাগ্রেগেটর, বড় খুচরো বিক্রেতা ও রফতানিকারীদের সঙ্গে নিজেরাই যোগাযোগ করতে পারেন, সে ব্যাপারেও আইন আনা হবে।
এ সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০ লক্ষ কোটি টাকার করোনা ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। দেশের জিডিপি-র প্রায় ১০ শতাংশ এই বিশাল প্যাকেজ সমাজের বিভিন্ন অংশকে অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা করার জন্য আনা হয়েছে যাতে লকডাউনের জেরে বৃদ্ধি পুরোপুরি স্তব্ধ না হয়ে যায়। এর মধ্যে রয়েছে দরিদ্রদের হাতে মার্চ থেকে ৩ মাস বিনা মূল্যে খাদ্য শস্য ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন আর্থিক নীতির মাধ্যমে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য আরও ৫.৬ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ। ২৪ মার্চ থেকে লকডাউনের জেরে দেশে আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি বন্ধ হয়ে রয়েছে, তাই অর্থনীতিকে কিছুটা অক্সিজেন দিতে কেন্দ্রের এই ত্রাণ প্যাকেজ।