নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গ তছনছ করে চলে যাওয়া উমপুনেও নাকি রক্ষে নেই। এবার আসছে নিসর্গ। ভারত মহাসাগরের উত্তরে তৈরি হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ, মানে প্রকৃতি।


ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট অল্পদিন আগে উত্তর ভারত মহাসাগরের ওপর তৈরি হতে চলা সব  ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। নিসর্গ ছাড়া বাংলাদেশ আর যে সব ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে বিপর্যয়, অর্ণব, উপকূল, ঊর্মি, মেঘলা ও সরোবর। উত্তর ভারত মহাসাগরের ১৩টি দেশ ১৩টি সাইক্লোনের নাম রেখেছে, সব মিনিয়ে ১৬৯টি সাইক্লোনের নাম রাখা হল। এই ১৩টি দেশ হল ভারত, বাংলাদেশ, ইরান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও ইয়েমেন।

উমপুন নাম রেখেছে থাইল্যান্ড, ২০০৪-এর সেপ্টেম্বরে যে ৬৪টি ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা প্রকাশ হয়, তাদের মধ্যে সবার শেষে ছিল এ। এরপর ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট নতুন যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ভারত যে সব ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে, সেগুলি হল গতি, তেজ, মুরাসু, আগ, ব্যোম, ঝড়, প্রবাহ, নীড়, প্রভঞ্জন, ঘূর্ণি, অম্বুদ, জলধি এবং বেগ।

আন্তর্জাতিকভাবে ৬টি রিজিওনাল স্পেশালাইজড মেটেরোলজিক্যাল সেন্টার বা আরএসএমসি ও ৫টি আঞ্চলিক ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টার বা টিসিডব্লিউসি রয়েছে।  এরা ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করে। এই ৬টি আরএসএমসি-র মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বা আইএমডি। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর সহ উত্তর ভারত মহাসাগরে যে ঝড়গুলি পাক খায়, তাদের নাম রাখার দায়িত্ব আরএসএমসি, দিল্লির। ইচ্ছেমত নাম রাখা য়ায় না, এর একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে।