ইন্দোর: হিন্দু দেবতাদের মানহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল যে কৌতুকশিল্পী মুনাওয়ার ফারুকিকে, তিন জামিনে মুক্তি পাবেন না বলে জানিয়ে দিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। আদালতের যুক্তি, শিল্পী যে অপরাধ করেননি, তেমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদিও আদালতে মুনাওয়ার জানিয়েছেন,  তিনি গ্রেফতার হওয়ার দিন শোতে কোনও আপত্তিকর মন্তব্য করেননি। আদালত তাঁর এই দাবি খারিজ করে দিয়ে বলেছে, তদন্ত চলছে। আরও মারাত্মক প্রমাণ হাতে আসতে পারে।


বিজেপির বিধায়ক একলব্য সিংহ গৌরের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ২৯ বছর বয়সি ফারুকিকে। ইন্দোর থেকে মুনাওয়ার সহ আরও ৫  কৌতুক শিল্পীকে গ্রেফতার করা হয়। হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে "নোংরা এবং অশালীন কৌতুক" করার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্পর্কেও অশালীন মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ।


আদালত জানিয়েছে, স্ট্যান্ড আপ কমেডি শোতে ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে প্রমাণিত হয় কৌতুকের আড়ালে  সংগঠিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। ফারুকির আইনজীবী আদালতে বলেছেন, ঘটনার দিন ওই শোতে শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নেন, কিন্তু কোনও অশালীন জোকস বলেননি তিনি।


কিন্তু এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তারা জানিয়েছে, আরও অপরাধমূলক প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে। তদন্ত চলছে। এই ঘটনা এবং সোশাল মিডিয়া পোস্টের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  বিচারপতি রোহিত আর্য বলেন, অভিযোগকারীর অভিযোগ এবং সাক্ষীদের বক্তব্য সহ শোয়ের ভিডিও দেখার পর অভিযুক্তের আবেদন মানা যাচ্ছে না। বিচারপতি বলেন, হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, গত দেড় বছর ধরে অভিযুক্ত ফারুকি সহ বাকি ৫ জন হিন্দু দেবতাদের অবমাননা করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ভগবান শ্রীরাম সহ সীতাকে অবমাননা করা হয়েছে। এতে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা হয়েছে।