পশু শিকারকাণ্ডে পুলিশের জালে ১। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডার শিকারকাণ্ডে অস্ত্র-সহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ২-টি রাইফেল, ২-টি সাইলেন্সার এবং ২৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ। অভিযুক্তকে আজ আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে আদালত ধৃতকে ওয়াল্ড লাইফ এক্টের 51/1 আইনে ৭ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গোপনসূত্রের খবরে বৃহস্পতিবার জলদাপারা জাতীয় উদ্যান স্পেশাল ফোর্সের বনকর্মীরা আলিপুরদুয়ার থানার অন্তর্গত বনচুকামারি গ্রামে অভিযান চালায়। সেখানে, স্থানীয় গ্রামবাসী পরিমল বর্মনকে জেরা করে বনদফতরের স্পেশাল ফোর্স। তার বয়ানের ভিত্তিতে পরিমল বর্মনের বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে মাটির তলায় পুতে রাখা প্লাস্টিকে মোরা ২ টি রাইফেল এবং তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে বনদপ্তরের ঐ স্পেশাল ফোর্স। গ্রেফতার করা হয় পরিমল বর্মন (৪২) কে।
বনদফতর সূত্রে খবর, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত চিলাপাতা রেঞ্জের জঙ্গলে মাদি গণ্ডার হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল এই অস্ত্র সামগ্রী। গত ৪ এপ্রিল জঙ্গলে উদ্ধার হয়েছিল পূর্নবয়ষ্ক খর্গবিহীন গন্ডারের দেহ। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে গত ৫ এপ্রিল গ্রেফতার হয়েছিল স্থানীয় তিনজন।
তাদের জেরা করেই এই অবধি পৌঁছনো গিয়েছে বলে বনদফতর সূত্রে খবর। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান গ্রেফতার হওয়া ৪ জন অসম থেকে আসা চোরাশিকারি। শুটারদের এরাই সাহায্য করেছিল। যদিও ধৃত পরিমল বর্মনের দাবি, সে নয়, তার ভাই অপরাধি। ভাই-এর কথায় নাজেনেই পরিমল অস্ত্রের প্যাকেট লুকিয়ে রাখেন। ভাই এখনও গ্রেফতার হয়নি।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বনাধিকারী দীপক এম জানান, গ্রেফতার হওয়া তিন জনের বয়ানের ভিত্তিতে একজনকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হচ্ছে। তার বয়ানের ভিত্তিতে জঙ্গল থেকে ২-টি রাইফেল, সাইলেন্সার এবং ২৪ টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে চোরা শিকারে ব্যবহৃত রাইফেলও রয়েছে।
দীপক এম জানান, অসম থেকে আসা আন্তর্জাতিক চোরা শিকারি শুটারদের এরাই সাহায্য করেছিল। ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত অধরা হলেও তিনি আশা করেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আরও চোরা শিকারি গ্রেপফতার হবে বলেই দফতর সূত্রে আশ্বাস।