নয়াদিল্লি: ইদের খুশিতে প্রতি বছর সীমান্তে পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে মিষ্টি বিলি, মিষ্টিমুখ হয় বিএসএফ জওয়ানদের। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতির প্রেক্ষাপটে এবার মিষ্টি বিলি হল না দুই বাহিনীর। জম্মু থেকে গুজরাত পর্যন্ত ভারত, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে কোথাও পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টি আদানপ্রদান করেনি সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। এই রাজ্যগুলিতে সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ। পাকিস্তানের দিক থেকে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে ইন্ধনের মাত্রা বৃদ্ধি, জঙ্গি মদত অব্যহত থাকায় বিএসএফ মিত্রতার হাত বাড়িয়ে দিতে তৈরি নয় বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তারা।
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, গত বছর দেওয়ালির সময়, ১ ডিসেম্বর রেইসিং ডে, ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে বিএসএফের তরফে প্রথামাফিক শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর চেষ্টা হলেও পাকিস্তান পাল্টা সৌজন্য দেখায়নি।
যদিও দেশের পূর্বপ্রান্তে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড, বাংলাদেশের সঙ্গে মিষ্টি বিনিময় হয়েছে বিএসএফের। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারা দেয় দুই বাহিনী। পরে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, বিএসএফ, বিজিবি-র সম্পর্ক খুব মধুর। দুদেশ একই সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, উত্সবের ধারক-বাহক। দুটি দেশ ও তাদের সীমান্ত পাহারা দেওয়া বাহিনীর মধ্যে যে উষ্ণতা ও বন্ধন আছে, তার প্রতিফলন দেখা যায়, যখন তারা ইদ সহ নানা খুশির উতসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে। বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৯০৩ কিমি পাহারার দায়িত্বে রয়েছে।
তাদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত চৌকি স্তর পর্যন্ত বিএসএফের জওয়ানরা বাংলাদেশের সাথীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। পেট্রোপোল সীমান্তে বিজিবি সদর দপ্তরের জন্য উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ভবিষ্যত সময়ে আরও উন্নতির আশায় বিজিবি-কে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছে বিএসএফ।