নয়াদিল্লি: সাজা কার্যকর হওয়া থেকে রক্ষাকবচ পেতে গিয়ে ফের বাধাপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে আদালতের কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। বিচারপতি নিজে বিদেশে থাকবেন। তার পরই এ নিয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়ে দিল গুজরাত হাইকোর্ট (Gujarat High Court)। তাই ৪ জুনের পরই এ নিয়ে শুনানি শুরু হবে। সুরতের নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল। সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সাজা কার্য়কর করার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য তা এখন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে গুজরাত হাইকোর্ট (Defamation Case)।
গ্রীষ্মকালীন ছুটির পরই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব, জানাল আদালত
সুরত আদালত সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল। মঙ্গলবার দ্বিতীয় বার তাঁর আবেদনের শুনানি চলছিল গুজরাত হাইকোর্টে। কিন্তু বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক জানান, গ্রীষ্মকালীন ছুটির পরই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। ৮ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য আদালত বন্ধ থাকবে। বিচারপতি নিজেই থাকবেন বিদেশে। তাই ৪ জুনের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে মোদি পদবী নিয়ে মন্তব্য করেন রাহুল। নীরব মোদি, ললিত মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একসারিতে বসিয়ে কটাক্ষ করেন। তাঁর সেই মন্তব্যে গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি অপরাধমূলক মানহানির মামলা দায়ের করেন থানায়। ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় মামলা দায়ের হয় রাহুলের বিরুদ্ধে। চার বছর আগের সেই মামলার শুনানিতে গত ২৩ মার্চ সুরতের আদালত দোষী সাব্যস্ত করে রাহুলকে। দু'বছরের সাজা দেওয়া হয় তাঁকে।
আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই জনপ্রতিনিধি আইনে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। আইন অনুযায়ী, দু'বছরের বেশি সাজা হলে পদ ছাড়তে হবে সাংসদকে। সাজা নির্দেশ বাতিল হলে সংসদে ফিরতে পারেন। ইতিমধ্যেই সাংসদ হিসেবে ২০০৫ সালে প্রাপ্ত বাসভবন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন রাহুল। তবে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু গুজরাত হাইকোর্টেও ধাক্কা খেতে হল তাঁকে।
আরও পড়ুন: Shin Splints: পায়ের পেশীতে টান ধরলে কীভাবে যন্ত্রণা দূর করবেন? রইল কিছু ঘরোয়া টিপস
মানহানি মামলায় ফের ধাক্কা রাহুলের
এর আগে, ২ এপ্রিল দায়রা আদালতেও আবেদন জানান রাহুলের আইনজীবী। একটি জামিনের, অন্যটি সাজা কার্যকর করায় স্থগিতাদেশের। সে বার দায়রা আদালত রাহুলের জামিন মঞ্জুর করলেও, সাজায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। বরং ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আবেদন জানাতে বলা হয়। সেই মতো গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল। কিন্তু সেই মামলা থেকে নাম তুলে নেন বিচারপতি গীতা গোপী। পরে মামলার দায়িত্ব পান বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক।