Shin Splints: পায়ের পেশীতে টান বা যন্ত্রণা শুরু হলে পরিস্থিতি ঠিক কতটা অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে তা এই অসুবিধায় যাঁরা পড়েছেন তাঁদের থেকে ভাল কেউ বুঝবেন না। shin splints- এর অর্থ হল পায়ের (লোয়ার লেগ) নিম্নাংশে যে টিবিয়া হাড় রয়েছে সেখানে টান ধরা বা যন্ত্রণা শুরু হওয়া। এই জাতীয় ব্যথা আচমকাই শুরু হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায়েই আরাম পাওয়া যায়। এবার জেনে নেওয়া যাক পায়ের পেশীতে টান ধরলে কোন কোন উপায়ে আপনি সাময়িক ভাবে হলেও স্বস্তি পাবেন।


পায়ের নিম্নাংশের পেশীতে কেন টান ধরে


মূলত মাসল, টেন্ডন এবং বোন টিস্যু অতিরিক্ত কার্যকরী হয়ে থাকলে পায়ের পেশীতে টান ধরে। বিশেষ করে ছোটাছুটি করলে বা খুব ভারী ওয়ার্ক আউট করলে এই সমস্যা দেখা যায়। একেই বলে shin splints। এর জন্য রইল কিছু প্রাকৃতিক নিরাময়ের টিপস।



  • লোয়ার লেগের টিবিয়া হাড়ে টান লাগলে অবিলম্বে সমস্ত কাজ বন্ধ করে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। কারণ আপনি যত বিশ্রাম নেবেন তত তাড়াতাড়ি এই সমস্যা কমবে। আপনি ফের পায়ে আগের মতো শক্তি পাবেন। সব কাজ স্বাভাবিক ভাবে করতে পারবেন।

  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওয়ার্ক আউট করার সময়েই shin splints- এর সমস্যা দেখা যায়। তাই শরীরচর্চা শুরুর আগে অবশ্যই স্ট্রেচিং করে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ আচমকা ওয়ার্ক আউট শুরু করলে আপনার শরীরে সঠিক ভাবে প্রস্তুত থাকে না।

  • shin splints- এর সমস্যায় পায়ে হাল্কা ম্যাসাজ করতে পারেন। এর ফলে পেশী শিথিল হবে। সমস্ত ধরনের ব্যথার থেকে আরাম পাবেন আপনি। তবে এক্ষেত্রে নিজে ম্যাসাজ না করে, অভিজ্ঞ কাউকে ম্যাসাজের দায়িত্ব দেওয়া ভাল।

  • পায়ের যে অংশে ব্যথা হবে সেখানে আপনি বরফ লাগাতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট ধরে আইস কিউব বা বরফের টুকরো ঘষতে পারেন ব্যথার জায়গায়। এছাড়াও দিতে পারেন বরফ সেঁক। এর ফলেও আরাম পাবেন।

  • মানবশরীরে বিভিন্ন টিস্যু ক্ষয় হলে তা মেরামতের জন্য শরীরের ভিতরে পুষ্টি উপাদান থাকা প্রয়োজন। তাই স্বাস্থ্যকর জুস খাওয়া দরকার। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ফল বা সবজির জুস খেতে পারেন আপনি। শাকপাতার রসও অনেকসময় দারুণ ভাবে কাজ করে।

  • পায়ের পেশীতে টান ধরলে অনেক সময়েই সমস্যা নিমেষে বেড়ে যায়। হয়তো আপনি বুঝতেও পারবেন না। আপনার অজান্তেই অবহেলা হয়ে যাবে। তাই এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।


আরও পড়ুন- কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনি অ্যাজমার শিকার? কী কী সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন?