মুম্বই: বিজেপি নয়, মহারাষ্ট্রে পোশাক বিধি নিয়ে নয়া ফরমান জারি করল মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জোট সরকার যাতে আছে কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনা! রাজ্যে সরকারি অফিসের কর্মীদের জিনস, টি শার্ট পরে কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে গত ৮ ডিসেম্বর জারি করা সার্কুলারে। জিনস, টি শার্ট ‘কর্মস্থলের উপযোগী পোশাক’ নয় বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। অনেকেই জিনস, টি শার্টে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু প্রশাসনের অভিমত ভিন্ন। নয়া পোশাক বিধিতে স্লিপার পরে অফিসে আসা চলবে না বলেও জানানো হয়েছে। তাহলে কী পরবেন তাঁরা? বিজ্ঞপ্তিতে অনুসারে সব সরকারি কর্মীকে অন্ততঃ সপ্তাহে একটা দিন, শুক্রবার খাদির পোশাক পরে আসতে বলা হয়েছে যাতে চরকার ব্য়বহারে উত্সাহ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লক্ষ্য করা হয়েছে যে, বহু সরকারি কর্তা, কর্মচারী (বিশেষত, চুক্তিতে কাজ করা লোকজন ও সরকারি কাজকর্মে নিযুক্ত পরামর্শদাতারা) সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পোশাক পরেন না। ফলে জনমানসে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি খারাপ হয়। সাধারণ মানুষ সব সরকারি কর্তাব্যক্তি, কর্মীদের কাছে ‘ভাল ব্যবহার, ব্যক্তিত্ব’ প্রত্যাশা করেন। সরকারি কর্মী, কর্তাদের জামাকাপড় যদি ঠিকঠাক, উপযুক্ত না হয়, অপরিষ্কার থাকে, তবে তাদের কাজেও পরোক্ষে তার প্রভাব পড়ে। জামাকাপড় অবশ্য়ই পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন, উপযুক্ত হওয়া উচিত।
মহিলা সরকারি কর্মীরা শাড়ি, সালোয়ার বা চুড়িদার কুর্তা, ট্রাউজার প্যান্ট, শার্টের পাশাপাশি প্রয়োজনে দোপাট্টা পরে আসতে পারেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। পুরুষরা শার্ট, সঙ্গে প্যান্ট বা ট্রাউজার প্য়ান্ট পরতে পারবেন। সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, গভীর রঙের ও বেখাপ্পা এমব্রয়ডারির ডিজাইন বা ছবিওয়ালা পোশাক পরা চলবে না। আর অফিসে জিনস, টি শার্ট পরা চলবে না।
মহিলারা চপ্পল, স্য়ান্ডাল বা জুতো পরে আসতে পারেন। পুরুষরা জুতো বা স্যান্ডাল পরবেন অবশ্যই।