জেলা অথবা ব্লক পর্যায়ের সরকারি কর্মীদের দেখতে হবে, মিড-ডে মিল কর্মীরা যাতে কেউ করোনা পজিটিভ না হন। কাজ ফের শুরু করার আগে রাঁধুনি ও তাঁদের সাহায্যকারীদের সেলফ ডিক্লারেশন দিতে হবে যে তিনি ও তাঁদের পরিবারের সকলে সম্পূর্ণ সুস্থ। স্কুলে ঢোকার আগে তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং হবে, মাস্ক পরতেই হবে সকলকে।
মন্ত্রকের নির্দেশিকা বলছে, নেল পালিশ বা নকল নখ পরা চলবে না, সে সব খাবারে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। ঘড়ি, আংটি, গয়না, চুড়ি- রান্না ও পরিবেশনের সময় এ সব কিছুই পরা চলবে না। থুতু ফেলা,নাক ঝাড়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। রাঁধুনি ও অন্যান্য সাহায্যকারীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিচ্ছন্ন অ্যাপ্রন ও মাথা ঢাকা টুপি দিতে হবে। রান্নার বাসনকোসন হতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। রান্নার তরিতরকারি ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে নুন-হলুদ দিয়ে বা ৫০ পিপিএম ক্লোরিন বা এমন মিশ্রণ দিয়ে। জল হতে হবে সুপেয়।
শারীরিক দূরত্ব যাতে মানা হয় সে জন্য খাবার একবারে নয়, দিতে হবে আলাদা আলাদা ব্যাচে। তা যদি সম্ভব না হয়, তবে বাচ্চারা নিজেদের নিজেদের ক্লাসরুমে বসে খাবার খাবে। বসার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরিষ্কার করে দাগ দিয়ে দিতে হবে। খাবারের তাপমাত্রা থাকবে অন্তত ৬৫ ডিগ্রি। রান্নার সঙ্গে সঙ্গে খাবার পরিবেশন করতে হবে। এছাড়া রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি যদি নিজেদের সুবিধে মত এই নির্দেশিকায় আরও কিছু যোগ করতে চায়, তবে তারা তা করতে পারবে।