নয়াদিল্লি: মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিওর ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে গতকালের বক্তব্য চিনকে কি কাঁপিয়ে দিয়েছে? মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে আলোচনার পর পম্পিও বিবৃতি দিয়ে চিনের সঙ্গে পূর্ব লাদাখের সীমান্ত সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়াস সমর্থন করেন। তাঁদের আলোচনায় লাদাখ সংঘাতের প্রসঙ্গ উঠেছিল। পম্পিও বিবৃতিতে বলেন, আমেরিকা ভারতের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়াসের পাশে রয়েছে। আমরা নানা ক্ষেত্র জুড়ে আমাদের বোঝাপড়ার প্রসার ঘটাতে একযোগে কাজ করতে দায়বদ্ধ। এমনকী পম্পিও চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে গত জুন মাসের সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা জওয়ানের মৃত্যুরও উল্লেখ করেন, শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের সৌধে গিয়ে শ্রদ্ধাও জানান।
আমেরিকার এমন ভারতের পাশে দাঁড়ানোয় বিচলিত হয়েই কি চিন বিবৃতি দিয়ে বলল, সীমান্ত প্রশ্নটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়, সেখানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনও জায়গাই নেই? নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাস প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্ত প্রশ্নটি চিন, ভারতের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। দুপক্ষ কূটনৈতিক, সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা হ্রাস, সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে। নিজেদের মতপার্থক্য সঠিক ভাবে মিটিয়ে নেওয়ার বিচক্ষণতা, ক্ষমতা ভারত ও চিনের আছে। তৃতীয় পক্ষের নাক গলানোর কোনও জায়গাই নেই। বেজিং আরও বলেছে, বিভিন্ন দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে কোনও তৃতীয় পক্ষের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ খর্ব হওয়া উচিত নয়, তা অবশ্যই আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের পক্ষে সহায়ক হওয়া উচিত।
পাশাপাশি আমেরিকা নিজের প্রাধান্য বহাল রাখতে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বানাচ্ছে বলেও অভিযোগ চিনের। বেজিংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকার আধিপত্য বজায় রাখতে, আদর্শগত, ঘনিষ্ঠ জোট গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠী, শিবিরের মধ্যে বিরোধ বাঁধানো, ভৌগলিক-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা উসকে দেওয়াই আমেরিকার প্রস্তাবিত ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির লক্ষ্য। একতরফা চলার, অন্যকে ধমকানোর স্বভাবের উল্লেখ করেও তার তীব্র বিরোধিতা করেছে চিন। বলেছে, ‘তথাকথিত চিনা বিপদকে জুজু হিসাবে দেখিয়ে’ কার্যত নিজের বিশ্বজোড়া আধিপত্য বহাল রাখার, চিনের অগ্রগতি থমকে দেওয়ার অজুহাত খাড়া করছে আমেরিকা।
ভারত-মার্কিন 2+2 আলোচনার তৃতীয় দফায় যোগ দিতে গত সোমবার প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক টি এসপারের সঙ্গে ভারতে আসেন পম্পিও। গত মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ভারত, আমেরিকার মধ্যে মৌলিক লেনদেন ও সহযোহিতা চুক্তিও (বেকা) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার ফলে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সামরিক প্রযুক্তি, অতি গোপনীয় স্যাটেলাইট প্রাপ্ত তথ্য ও দুটি দেশের মধ্যে একান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের আদানপ্রদান সম্ভব হবে।
আমেরিকা ভারতের পাশে, পম্পিওর ঘোষণায় শঙ্কিত? সীমান্ত প্রশ্নটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ নয়, বলল চিন
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
28 Oct 2020 06:35 PM (IST)
নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাস প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্ত প্রশ্নটি চিন, ভারতের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। দুপক্ষ কূটনৈতিক, সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা হ্রাস, সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে। নিজেদের মতপার্থক্য সঠিক ভাবে মিটিয়ে নেওয়ার বিচক্ষণতা, ক্ষমতা ভারত ও চিনের আছে। তৃতীয় পক্ষের নাক গলানোর কোনও জায়গাই নেই।
NEXT
PREV
খবর (news) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -