নয়াদিল্লি : ২০২৪ নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতে নিল জাপানি সংস্থা Nihon Hidankyo । পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার চেষ্টায় সফল হওয়ার জন্য এই সাফল্য গেল তাদের ঝুলিতে। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু অস্ত্রের প্রকোপ থেকে যেসব মানুষ বেঁচে গিয়েছেন তাঁদের নিয়ে তৃণমূল স্তরে আন্দোলনে প্রসিদ্ধ এই সংগঠন। এই সংস্থার আরও একটি নাম হিবাকুশা। "পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়তে সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে বোঝানো যে পারমাণবিক অস্ত্র আর কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়", সেই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য খ্যাতি তাদের।


এবছর শান্তি পুরস্কার ঘোষণার সময় নরওয়ের নোবেল কমিটি সম্মান জানিয়ে বলে যে, হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের "তাঁদের মূল্যবান অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শান্তির আশা জাগানোর জন্য সম্মানিত করা হয়েছে।" "তাঁরা আমাদের পরমাণু অস্ত্রের মাধ্যমে সৃষ্ট অবর্ণনীয়কে বর্ণনা করতে, অকল্পনীয় চিন্তা করতে এবং পারমাণবিক অস্ত্র দ্বারা সৃষ্ট অসহ্য যন্ত্রণাকে একরকম উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।" এক্স হ্যান্ডেলে এমনই পোস্ট করেছে নোবেল কমিটি। কমিটি আরও হাইলাইট করেছে যে, প্রায় ৮০ বছরে যুদ্ধে কোনও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।  


 






সাহিত্যে নোবেল-


২০২৪ সালে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক সাহিত্যিক হান কাং। গভীর কাব্যিক গদ্যের জন্য সাহিত্যের সেরা সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে। 


'দ্য ভেজেটেরিয়ান' এবং 'হিউম্যান অ্যাক্টস' উপন্যাসের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন হান কাং। সুইডিশ অ্যাকাডেমির স্থায়ী সম্পাদক ম্যাটস মালম নোবেল সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে হান কাংয়ের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "ফোনে হান কাংয়ের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছি আমি। আর পাঁচটা দিনের মতোই দিন কাটছিল তাঁর। ছেলের সঙ্গে সবে নৈশভোজ সেরে উঠেছিলেন। এই খবরের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না। আমরা ডিসেম্বরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।" এ বছর ডিসেম্বর মাসে হান কাংয়ের হাতে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।


'দ্য ভেজিটেরিয়ান' উপন্যাসে হান কাং লেখেন, 'জীবন বড়ই অদ্ভুত, ভাবল সে, হাসিয়ে থামতেই এই ভাবনা এল। যদিও অনেক কিছুই ঘটে গিয়েছে তাদের সঙ্গে, সেই অভিজ্ঞতা যতই ভয়ঙ্কর হোক না কেন, তার পরও মানুষ খাবার খায়, পানীয় ঢালে গলায়, শৌচালয়ে যায়, স্নান করে, এককথায় জীবনযাপন চালিয়ে যায়। কখনও কখনও জোরে হেসেও ওঠে। একই ভাবনা হয়ত তাদের মাথাতেও আসে। সেই সময় হয়ত সমস্ত দুঃখের স্মৃতি আবার ফিরে আসে, যা কিছু সময়ের জন্য ভুলে থাকতে পেরেছিল'।