কলকাতা: নোবেলজয়ী (Nobel Prize Winner) অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসকে (Muhammad Yunus) বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নোবেলজয়ীকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নাম চূড়ান্ত হবে, এমনটাই সূত্রের খবর। ছাত্রদের দাবি মেনে প্রধান হলেন নোবেলজয়ী ইউনুস। 


রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিবের তরফে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে বলে খবর। এদিন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে ঢাকার বঙ্গভবনে বৈঠক চলে। রাষ্ট্রপতি ও ৩ বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিল আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে উপস্থিত ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও তানজিম উদ্দিন। 


এদিকে ইতিমধ্যেই জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। সেনা-শাসন চাইছেন না অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকরা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে চাইছিলেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসকে। মহম্মদ ইউনুসও আন্দোলনকারী প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব নিতে রাজি ছিলেন নোবেলজয়ী। 


আরও পড়ুন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ছেন হাসিনা? এবার গন্তব্য কোথায়? বড় আপডেট!


মঙ্গলবার এবিপি লাইভের প্রতিনিধি নয়নিমা বসুকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার একমাত্র সমাধান হল গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া। 


তবে প্যারিস থেকে এবিপি লাইভের সঙ্গে কথা বলার সময় ভারতের বিদেশনীতি, মূলত বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে অবস্থান প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এবিপি লাইভের প্রতিনিধি নয়নিমা বসুকে তিনি বলেন, "আমি খুবই আহত হয়েছিলাম, যখন ভারত ছাত্র আন্দোলনকে বলল , এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এই বিষয়ে কিছু করতে পারব না। আমি বললাম, আসুন, আমাদের নির্বাচনে অংশ নিন।" 


২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপকের কথায়, "ভারত শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিকে সমর্থন করতে চেয়েছিল" বরং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যখন বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তখন  নয়াদিল্লির একটি "ভূমিকা" ছিল । ভারতই হাসিনাকে সর্বাগ্রে অভিননন্দন জানিয়ে এসেছে।  


অর্থনীতিবিদের অভিযোগ, ভারত "দুর্ভাগ্যবশত" হাসিনার প্রতিটি নির্বাচনে কারচুপি করার পদ্ধতিকে সমর্থন করে। ইউনুস উল্লেখ করেন, ভারত আমাদেল প্রতিবেশী দেশ। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সংযুক্ত। তাই ঢাকা এবং নয়াদিল্লি "বেস্ট ফ্রেন্ড" হতে পারে।


আরও পড়ুন, কেন বাংলাদেশের মানুষ ভারতের প্রতি 'ক্ষুব্ধ'? দিল্লিকে নীতি পরিবর্তন করতে বললেন মহ. ইউনুস


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে