নয়াদিল্লি: বারবার সতর্ক করেও ফিরছে না হুঁশ। কিছুদিন আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে ডিজিট্যাল অ্যারেস্ট বিষয়ে সতর্ক করেন। তারপরও ফাঁদ পাতা থামাচ্ছে না জালিয়াতরা। নতুন নতুন কায়দায় চলছে সাইবার-লুঠপাট। বিভিন্ন সময় ভয় দেখানোর নতুন অস্ত্র নিয়ে সাধারণ নাগরিকের টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনা থামছেই না। যেমনটা ঘটেছে নয়ডায়। এক মহিলাকে ভয় দেখিয়ে ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে সাইবার-অপরাধীরা।
অভিযোগ, নয়ডার ওই মহিলা একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পান। যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে ২ টি ইডি নোটিস পাঠানো হয়। বলাই বাহুল্য, ওই দুটি নোটিশই জাল ! তবে ওই মহিলা প্রথমে সেটা বোঝেনইনি। প্রথমে ইডি নোটিশ পাঠিয়ে ভয় দেখানো, তারপর 'তদন্তকারী অফিসার বলছি' বলে ফোন কল। এখানেই শেষে নয়, কথার প্যাঁচে ফেলে ওই মহিলাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করা হয়, তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ বস্তু পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। তারপরই তার থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় ৩৪ লাখ টাকা।
ঠিক কী বলা হয়েছিল মহিলাকে ? ফোনে ওই মহিলাকে বলা হয়, তাঁর নামে মুম্বই থেকে ইরানে একটি পার্সেল গিয়েছে । তাতে রয়েছে ভয়ঙ্কর সব নিষিদ্ধি বস্তু। যেমন - পাঁচটি পাসপোর্ট, দুটি ডেবিট কার্ড, দুটি ল্যাপটপ, ৯00 মার্কিন ডলার এবং ২00 গ্রাম মাদকদ্রব্য। বলা হয়, এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে। তারপর একজন তদন্তকারী অফিসারের নাম করে স্কাইপে কল করে, যদিও সেই সময় ভিডিওটি বন্ধ করাই ছিল। এরপরই কথার জালে ফেলে তার থেকে লুঠে নেওয়া হয় এই বিরাট অঙ্কের টাকা।
পরে মহিলা বুঝতে পারেন তিনি সাইবার অপরাধীদের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন। অভিযোগ দায়ের করেছেন, গৌতম বুদ্ধ সাইবার ক্রাইম থানায়। বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসার গৌতম বলেন, অভিযুক্তরা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) দুটি নোটিশও পাঠিয়েছে, যেখানে ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
আশ্চর্যের বিষয় হল, তদন্তকারী অফিসার গৌতম বলেন, অভিযুক্তরা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) দুটি নোটিশও পাঠিয়েছে। সেখানে ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে