কলকাতা: এক বেনজির ঘটনা, নির্মম দৃশ্য! ঘর খুলতেই দেখা গেল আটকে রয়েছেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। কারও হাত-পা বাঁধা, কারও আবার গায়ে একটা সুতো পর্যন্ত নেই। এমনকী বেসমেন্টেও আটকে রাখা হয়েছিল বেশ কয়েকজন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে। বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়ে উত্তরপ্রদেশের নয়ডার একটি বেসরকারি বৃদ্ধাশ্রমে হানা দিয়ে ৩৯ জন প্রবীণ নাগরিককে উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সেক্টর ৫৫-তে আনন্দ নিকেতন বৃদ্ধ সেবা আশ্রমে পুলিশি তল্লাশিতে হাজির ছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশন এবং উন্নয়ন দফতরের প্রতিনিধিরা।
বৃদ্ধাশ্রমের করুণ অবস্থার একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। লখনউয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগেও পাঠানো হয়েছিল সেটি। ছোট ক্লিপটিতে দেখা গেছে যে একজন বৃদ্ধা মহিলাকে হাত বাঁধা অবস্থায় একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। এর পরপরই, রাজ্য মহিলা কমিশন এবং নয়ডা পুলিশ বৃহস্পতিবার বাড়িতে অভিযান চালায়।
রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য মীনাক্ষী ভারালার মতে, কিছু বৃদ্ধ পুরুষকে বেসমেন্টের মতো কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। যদিও বেশিরভাগ বয়স্ক পুরুষ পোশাক পরে ছিলেন না, মহিলাদের আংশিক পোশাক দেওয়া হয়েছিল। তাদের অনেকেরই প্রস্রাব বা মলের দাগযুক্ত পোশাক পাওয়া গেছে। তিনি এও দেখেন যে প্রবীণ নাগরিকদের যত্ন নেওয়ার জন্য উপযুক্ত কর্মী নেই। বৃদ্ধাশ্রমের একজন কর্মচারী, যিনি নিজেকে নার্স বলে পরিচয় দিতেন, তিনি বলেন যে তিনি সবেমাত্র দ্বাদশ শ্রেণী পাস করেছেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এই বৃদ্ধাশ্রমে থাকার জন্য ওই বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের পরিবারের থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা অনুদান নিয়েছিল। তাদের খাবার এবং থাকার জন্য প্রতি মাসে ৬,০০০ টাকাও নিয়ে থাকে।
বৃদ্ধাশ্রমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং কয়েক দিনের মধ্যে বয়স্কদের সরকারি বৃদ্ধাশ্রমে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।