নয়া দিল্লি: মুহূর্তে ভ্যানিশ হয়ে যেতে চলেছে দুই জোড়া টাওয়ার। ম্যাজিক নয় একেবারেই।  উচ্চতাও কিন্তু নেহাত কম নয়। ১০০ মিটার। সেই দুই জোড়া টাওয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে মাত্র ৯ সেকেন্ডে। নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ারগুলিকে ধ্বংস করতে চার টন পর্যন্ত বিস্ফোরক ব্যবহার করা যেতে পারে বলে এখনও পর্যন্ত খবর। ২২ মে এই বিস্ফোরণটি করা হবে। জোড়া টাওয়ার নিয়ে নানা আইনি জট রয়েছে। 


এই টাওয়ারের কাছাকাছি প্রায় ১৫০০ পরিবার বাস করে। ২২ মে দুপুরে যখন এই ধ্বংসাত্মক কাজটি করা হবে তখন  প্রায় পাঁচ ঘন্টার জন্য ওই এলাকাবাসীদের সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর। ওই অঞ্চলের কাছেই রয়েছে নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে। বিস্ফোরণের সময় এক ঘন্টার জন্য যান চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে সেখানেও।  


সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের ৩১ আগস্ট সুপারটেকের এপেক্স (১০০ মিটার) এবং সিয়ান (৯৭ মিটার)- এই দুই জোড়া টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। কারণ বিল্ডিং নিয়ম লঙ্ঘন করে টুইন টাওয়ার তৈরি হয়েছিল বলে আদালতের তরফে জানান হয়। প্রথমে সিয়ান (৩১ তলা) এবং এপেক্স (৩২ তলা) ভেঙে ফেলা হবে। 


কীভাবে এই কাজ হবে?


জানান হয়েছে বিল্ডিংটি একাধিক ধাপে ভেঙে ফেলা হবে তবে একসঙ্গেই সেই কাজ হবে। প্রথম ধাপে ভাঙবে ১০টি তলা, পরের ধাপে বাকিগুলি। প্রথম তলার কলামে বিস্ফোরক রাখা থাকবে। 


যে সংস্থা এই কাজ করবে তাঁরা ২০১৯ এ দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১০৮ মিটার লম্বা ব্যাঙ্ক অফ লিসবনকে একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেঙে ফেলেছিল। নিরাপত্তা ও নিরাপদের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েই এই কাজ করা হবে বলে সংস্থার তরফে জানান হয়। 


বিস্ফোরণে টাওয়ারগুলো ধ্বংস হতে মাত্র নয় সেকেন্ড সময় লাগবে, গ্রাউন্ড ওয়ার্কের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই চলছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র, প্লাম্বিং আইটেম, দরজা এবং জানালার মতো কাঠামো ভেঙে ফেলার কাজও। বিস্ফোরণের ফলে ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ কমাতে দেয়ালগুলিও ভেঙে ফেলা হবে বলে জানা গিয়েছে।