কামারহাটি (উত্তর ২৪ পরগনা) : গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এখনও জলমগ্ন কামারহাটি পুরসভার ৩৪ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড। যতীন দাস নগর, আদর্শ নগর এলাকায় বহু বাড়িতে জল রয়েছে। রাস্তা, দোকান-বাজারে জল জমে থাকায় সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। চার-পাঁচদিন ধরে বিস্তীর্ণ এলাকা জলে ডুবে থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। কামারহাটি পুরসভার দাবি, তাঁতিয়া খাল ও উদয়পুর খালের জল বাগজোলা খালে গিয়ে পড়ছে। কিন্তু বৃষ্টিতে গঙ্গার জলস্তর বাড়ায় জল নামতে সময় লাগছে।


এদিকে রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে শ্রাবণের ধারাপাত। আগামী দু’-এক ঘণ্টা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপরে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি, মৌসুমী অক্ষরেখা বাঁকুড়া থেকে দিঘা হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। দু’য়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে আজ বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। 


কাল থেকে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি।


দিন কয়েকের প্রবল বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। গড়িয়াহাট বাজার থেকে কোলে মার্কেট বেশিরভাগ সবজির দামই হাফ সেঞ্চুরি পার করেছে। মাথায় হাত ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের। আরও দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।


উল্লেখ্য, টানা বৃষ্টির জেরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জল জমেছে। বৃষ্টির জেরে এবং নদী বাঁধ ভাঙায় হুগলির আরামবাগ, গোঘাটের পর প্লাবিত হয়েছে খানাকুলও। তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বরের জলে ভাসছে খানাকুলের একাধিক গ্রাম। বন্দিপুরে দ্বারকেশ্বর ও ঘোড়াদহে রূপনারায়ণের বাঁধ ভেঙে হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে একাধিক গ্রামে। বেশ কয়েকটি এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে জল। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ায় নতুন করে বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।