কলকাতা : ত্রিপুরায় বিজেপি-তৃণমূল তরজা তুঙ্গে। গতকালই ধলাইয়ের আমবাসায় আক্রান্ত হন যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা-রা। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে আজই ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তাঁর সফরের আগে বিপ্লব দেব-কে ট্যুইটারে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ট্যুইট করলেন, পারলে আটকে দেখান।


ট্যুইটারে অভিষেক লেখেন, ত্রিপুরায় বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডাদের দ্বারা নৃশংসভাবে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে কাল(রবিবার) ত্রিপুরা আসছি। আমার প্রতিজ্ঞা, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করে যাবে। 


এর পর বিপ্লব দেবকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, পারলে আটকান। প্রসঙ্গত, সোমবার ত্রিপুরা গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্রামগড়ে তাঁর কনভয়ে বিজেপি কর্মীদের হামলার অভিযোগ ওঠে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই, এবার আক্রান্ত সিপিএম কর্মীদের দেখতে যাওয়ার পথে আমবাসায় আক্রান্ত হলেন যুব তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। গতকাল ধলাইয়ের আমবাসায় আক্রান্ত হন যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা। হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। 


তৃণমূলের আক্রান্ত নেতা-নেত্রীদের অভিযোগ, পুলিশি নিরাপত্তায় আমবাসা থেকে যখন তাঁরা ফিরছিলেন, তখন ফের হামলা চালায় বিজেপি। গাড়ির ভাঙা জানালায় ফের বাঁশের বাড়ি মারা হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে আক্রান্তদের দাবি, ত্রিপুরায় নিরাপদ নয় পুলিশও। দ্বিতীয়বারের হামলায় এক এসআই আহত হয়েছেন বলে দাবি যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যর।


এদিকে ঘটনার পর নিরাপত্তার দাবিতে খোয়াই থানার সামনে অবস্থানে বসেন আক্রান্ত দেবাংশু, জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা-রা। রাতভর চলে বিক্ষোভ। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে গ্রেফতার করা হয় ১১ জন তৃণমূল নেতাকে। ধৃতদের আজই আদালতে পেশ করা হবে। এদিকে, আজ সকালে কলকাতা থেকে ত্রিপুরা যান ব্রাত্য বসু, দোলা সেন ও কুণাল ঘোষ। 


কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকের জন্য হোটেল এবং সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া নিয়ে অসহযোগিতা করা হচ্ছে।