সিওল: উত্তর কোরিয়ার সর্বশক্তিমান নেতা কিম জং উন বেঁচে আছেন কিনা, এ নিয়ে যাবতীয় সংশয় খারিজ করে তিনি জীবিত, সুস্থ বলে দাবি করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের শীর্ষ নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মুন চাং-ইন। তিনি বলেছেন, আমাদের সরকারের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। কিম জন উন বেঁচে আছেন, ভাল আছেন। তিনি গত ১৩ এপ্রিল থেকে দেশের পূর্ব প্রান্তের রিসর্ট শহর ওনসেনে আছেন বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের ওই কর্তা। তাঁকে ঘিরে কোনও সন্দেহজনক গতিবিধিও এখনও চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। সোমবার আবার উত্তরের সরকারি সংবাদপত্র রোডং সিনমুন জানায়, উন ওনসান কালমা উপকূল পর্যটন প্রজেক্টের কর্মরত শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন।
১৫ এপ্রিল কিমের দাদু তথা রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুঙের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে উনের গরহাজিরা ঘিরেই তাঁর শরীর, স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটিতেই তিনি কেন উধাও, প্রশ্ন ওঠে। ১১ এপ্রিল ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো বৈঠক, পরদিন বায়ুসেনা ঘাঁটির জেটবিমান প্রদর্শনীর পর থেকে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
তারপর থেকেই গুজব, জল্পনা ছড়াতে থাকে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে। যদিও সিওলের তরফ থেকে যাবতীয় অনুমান, জল্পনায় জল ঢেলে জানিয়ে দেওয়া হয়, উনের কিছুই হয়নি।
গত সপ্তাহে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, আমাদের খবর নিশ্চিত করার মতো কিছু নেই, উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরে চোখে পড়ার মতো কোনও গতিবিধিও নেই। এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন মন্ত্রী কিম ইয়ন ফের জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে পাকা খবরই আছে। ‘জটিল পদ্ধতি, প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবর বিশ্লেষণ করেই’ সিদ্ধান্তে এসেছেন তাঁরা।
যদিও সম্প্রতি মূলতঃ উত্তর কোরিয়ার বিক্ষুব্ধ, বিদ্রোহীদের চালানো অনলাইন মিডিয়া ডেইলি এনকে খবর দিয়েছিল, মধ্য তিরিশের উন প্রচুর ধুমপান করেন, ওবেসিটি, ক্লান্তি,অবসাদে আক্রান্ত, তাঁর জরুরি চিকিত্সার প্রয়োজন হয়ে পড়ায় চলতি মাসের প্রথমে কার্ডিওভাসকুলার প্রক্রিয়া চালাতে হয়েছিল এবং সেই অস্ত্রোপচারের পর তাঁর ‘প্রাণ সংশয়’ হয়েছে। তারপরই সিএনএন খবর দেয়, গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া এখবরের দিকে নজর রাখছে ওয়াশিংটন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবারই উনের অসুস্থ হওয়ার খবর অস্বীকার করেন, যদিও শেষ কবে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল, জানাতে চাননি।