কলকাতা: শুধুমাত্র চিকিৎসা ক্ষেত্রেই অক্সিজেন ব্যবহার করা যাবে। অন্য ক্ষেত্রে অক্সিজেন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। সব রাজ্যকে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা সংক্রমণের সুনামির সঙ্গে এই মুহূর্তে দেশজুড়ে চলছে অক্সিজেনের হাহাকার। অক্সিজেনের চাহিদা সামাল দিতে তাই এবার এমন সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।


রাজ্য সরকারকে দেওয়া চিঠিতে কেন্দ্রের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, শিল্প প্রতিষ্ঠান সহ চিকিৎসা ক্ষেত্র নয় এমন ক্ষেত্রে অক্সিজেন ব্যবহার করা যাবে না। চিকিৎসাক্ষেত্রে যাতে ব্যবহার করা যায় তাই এই সিদ্ধান্ত। পরবর্তী নির্দেশিকা পর্যন্ত এই নিয়ম লাগু থাকবে।  



কখনও দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতাল, কখনও দিল্লির এলএনজেপি, বাটরা হাসপাতাল। একে একে প্রকট হয়েছে অক্সিজেন সঙ্কট। জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে অক্সিজেন না পেয়ে ২০ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দিল্লিতে অক্সিজেনের এই হাহাকারের মধ্যেই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর দশরথপুরী এলাকায় একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩২টি বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ১৬টি ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করেছে দিল্লি পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে ১ জনকে। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। 


এর মাঝেই একের পর এক হাসপাতাল বারবার করু আর্তি করেছে দ্রুত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার, তেমনটা না হলে অনেক রোগীকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল তারা। দুর্ভাগ্যবশত যে আশঙ্কা বেশ কিছু জায়গাতেই করুণ বাস্তবে পরিণত হয়েছে।


প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে দেশের সমস্ত হাসপাতালে নিরবচ্ছিন্নভাবে অক্সিজেন সরবরাহ জারি করার বার্তা দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রকে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আগেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যাতে কোনওভাবেই আন্তঃ-রাজ্য অক্সিজেন সরবরাহ অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায় সেই আর্জিও জানান তিনি। 


বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অক্সিজেন দেশে আনার পাশাপাশি রবিবারই নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে। যেখানে পিএম কেয়ার্স থেকে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে দেশে অক্সিজেন প্লান্ট গঠন করার জন্য়। যদিও সেই নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধীরা। আগে কেন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলেই প্রশ্ন তোলে তারা। আগে আর্জি নিলে অনেক ভারতীয়র প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত বলেই দাবি তাদের।