লখনউ: একসঙ্গে ২৫টা স্কুলে কাজ করে ১৩ মাসে ১ কোটি টাকার বেশি বেতন তুলেছেন উত্তরপ্রদেশের এক শিক্ষিকা! এরকমই এক খবরে চাঞ্চল্য ছড়ানোর পর তদন্তের নির্দেশ দিল যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। প্রতারণা হয়েছে কিনা, প্রশ্ন ওঠায় তদন্ত চলছে, এখনই এর সত্যতা প্রমাণিত হয়নি বলে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে তারা। রাজ্যের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের ডেটাবেস তৈরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যে,
মৈনপুরীর বাসিন্দা ওই শিক্ষিকা ২৫টির ওপর স্কুলে কাজ করেছেন, ১ কোটি টাকার বেশি বেতন পেয়েছেন। অম্বেডকর নগরের কস্তুরবা গাঁধী বালিকা বিদ্যালয় ছাড়াও বাগপত, আলিগড়, সাহারানপুর, প্রয়াগরাজ ও আরও নানা জায়গায় বিভিন্ন স্কুলে তিনি বিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসাবে পড়িয়েছেন। সব স্কুলের খাতায় তাঁর নাম আছে। প্রসঙ্গত, কস্তুরবা গাঁধী বালিকা বিদ্য়ালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কন্ট্র্যাক্টের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়, ৩০০০০ টাকা বেতন পান তাঁরা।


রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল বিজয় কিরণ আনন্দ সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, মিডিয়ায় বেরনো রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বেসিক এডুকেশন সংক্রান্ত অতিরিক্ত ডিরেক্টরকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কিছুই প্রমাণিত হয়নি। একজন শিক্ষকের নাম সামনে এসেছে। তিনি পলাতক। তাঁকে ১ কোটি টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এটা একেবারেই সত্যি নয়। কিছুই নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এফআইআর দায়ের করা হবে। ওনার অ্যাকাউন্টে এখনও টাকা ট্রান্সফার করা হয়নি। ওনার হয়ে যদি অন্য কোনও শিক্ষক অন্য স্কুলে প্রক্সি দিয়েছেন বলে প্রমাণ মেলে, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।