হুগলি: হুগলির শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিলের টেক্সটাইল শাখায় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শ্রমিকদের। মিল বন্ধ নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতির তরজা।
করোনার সংক্রমণে দেশে সর্বনাশা রেকর্ড। অন্তহীন মৃত্যুমিছিল। কোথাও সম্পূর্ণ। কোথাও আবার আংশিক লকডাউন। তার জেরেই কর্মহীন হচ্ছেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে, ভোট মিটতেই এবার তালা ঝুলল শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিলের টেক্সটাইল শাখায়।
কর্মহীন হলেন পাঁচশোরও বেশি শ্রমিক। তাঁদের দাবি, শনিবার কাজে যোগ দিতে এসে দেখেন, টেক্সটাইল শাখায় ঝোলানো রয়েছে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। শুরু হয় পথ অবরোধ। মিল কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা আবহে চাহিদা কমায় লোকসান ঠেকাতে ১৫ দিনের জন্য মিল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মিল বন্ধ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। হুগলি জেলার আইএনটিটিইউসি-র কার্যকারী সভাপতি সন্তোষকুমার সিংহ বলেন, শাসকদলকে বদনাম করতেই ভোটের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিল বন্ধের সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁতের জেরেই মিল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাজনৈতিক তরজা চললেও, মিল বন্ধে আখেরে সমস্যায় সেই কর্মহীন শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার। এদিন পুলিশের মধ্যস্থতায় প্রায় দেড়ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে।
এদিকে গত মঙ্গলবার একই ঘটনা ঘটে পশ্চিম বর্ধমানে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই কর্মহীন হয়ে পড়েন দুর্গাপুরের একটি সংস্থার ২০০জন অস্থায়ী কর্মী। প্রতিবাদে, কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ শ্রমিকদের। জেনারেল ইলেকট্রিকাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামে এই সংস্থার কর্মীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের তরফে ফোন করে তাঁদের জানানো হয়, মঙ্গলবার থেকে আর কাজে আসার দরকার নেই। শুধু তাই নয়, তাঁদের অভিযোগ, এই ২০০ জনের জায়গায় নতুন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিবাদে, কারখানার গেটে অবরোধ শুরু করেন কর্মীরা।
এক কর্মী বলেন, এই কোভিড আবহে যদি তাদের কাজ চলে যায় তাহলে তো পরিবার পরিজনকে নিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর তাদের কাছে আর কোনো পথ খোলা থাকবে না, শ্রমিকদের এও অভিযোগ ভোটের আগে সবাই তাদের নিয়ে কাজ করল আর ভোট পেরোতেই তারা ইউস এন্ড থ্রো করে দিল।