আমদাবাদ: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) রবিবারের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার গুজরাতের আমদাবাদে সংঘর্ষ হল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই ও বিজেপি-আরএসএসের ছাত্র শাখা এবিভিপির কর্মী, সদস্যদের মধ্যে। অন্তত ১০ জন জখম হয়েছে।
জেএনইউয়ে গুন্ডাবাজি করেছে এবিভিপি, ঘটনার পর থেকেই অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। আজ রাজধানীর অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুখোশধারী এবিভিপি হামলাকারীদের তান্ডবের অভিযোগে আমদাবাদের পালদি এলাকায় মিছিল করে এনএসইউআইয়ের লোকজন। সেখানে এবিভিপি দপ্তরে হাজির হয় তারা। এবিভিপি কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে তাদের বচসা হয়। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ। উভয় শিবিরই লাঠি, পাথর নিয়ে পরস্পরের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে।


আহতদের মধ্যে আছেন এনএসইউআইয়ের গুজরাত শাখার সাধারণ সম্পাদক নিখিল সাবানি। তাঁর রক্তমাখা জামা পরা স্ট্রেচারে শুয়ে থাকার ছবি ছড়িয়েছে। জেএনইউয়ের হামলার সময় ‘দিল্লি পুলিশ যেভাবে দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে, আজকের ঘটনার সময়ও গুজরাত পুলিশ সেভাবে শুধু নাটক দেখছিল’ বলে অভিযোগ করেছে এনএসইউআই।


রাজ্যের শীর্ষ কংগ্রেস নেতা রাজীব সাতভ এ ঘটনাকে ‘প্রকাশ্যে এবিভিপির গুন্ডামি, নৈরাজ্য’ আখ্যা দিয়ে ‘হিংসা ও গডসের সমর্থকরা’ বিরুদ্ধ স্বর দমিয়ে রাখতে পারবে না ঘোষণা করেছেন।
ট্যুইটার হ্যান্ডলে এনএসইউআই একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে দাবি করেছে, হামলাকারীদের মধ্যে ছিলেন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার গুজরাত শাখার সভাপতি ডঃ রুতভীজ পটেল ও এবিভিপির আমদাবাদ শাখার সভাপতি নরেশ দেশাই।