ক্যানবেরা: এ রাজ্যের চিকিৎসক, নার্সরা বারবার অনুযোগ করছেন, করোনার সঙ্গে যুদ্ধে নামার যথেষ্ট সরঞ্জাম তাঁদের নেই, ঠিকমত পোশাক, মাস্ক, স্যানিটাইজার কিছুই মিলছে না। আবার সরকারকে একাধিকবার সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করতে হচ্ছে, নার্স, চিকিৎসকদের সঙ্গে যেন দুর্ব্যবহার না করা হয়, সমাজে যেন অচ্ছুত না করে রাখা হয়তাঁদের। দেখা যাচ্ছে, একই পরিস্থিতি অস্ট্রেলিয়াতেও। করোনার সঙ্গে তো লড়ছেনই, নিজেদের দেশেই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নার্সরা। তাঁদের মাস্ক, স্যানিটাইজার চুরি তো যাচ্ছেই, যখন তখন হিংসার শিকার হতে হচ্ছে। ফলে নার্স ও আয়ারা অনুরোধ করলেন, তাঁদের শান্তিতে কাজ করতে দেওয়া হোক, এমন বিপদজনক পরিবেশে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ তাঁরা চালাতে পারছেন না।


অস্ট্রেলিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৮০০ ছাড়িয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৮। এই পরিস্থিতিতে নিউ সাউথ ওয়েলস নার্সেস অ্যান্ড মিডওয়াইভস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতি দিয়ে বলেছে, নার্স, আয়া ওঅন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দয়া করে এমন ব্যবহার করবেন না, যেন তাঁদের কাছে এলেই সংক্রমণ হয়ে যাবে। এঁরা সকলেই প্রশিক্ষিত, পেশাদার, এঁদের সম্মান করুন, মারধর, দু্র্ব্যবহার, গায়ে থুতু দেওয়া- এ সব করবেন না। সিডনির এক সংবাদপত্র জানিয়েছে, নার্সের ইউনিফর্ম পরা এক মহিলাকে দেখে অন্য এক মহিলা তাঁর সামনে এসে গায়ের ওপর হাঁচেন, গালাগাল করেন, শেষে মুখে ঘুষি মারেন। এ ব্যাপারে আরও তথ্য চেয়ে আবেদন করেছে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ।

এছাড়া তাঁদের হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল, ফেস মাস্ক চুরি করা হচ্ছে, হাসপাতালের অন্যান্য দরকারি জিনিসপত্রও গায়েব হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রাণ হাতে করে করোনা আক্রান্তদের শুশ্রুষা করছেন হাসপাতাল কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ হাসপাতাল এখন শিকল দিয়ে স্যানিটাইজারের বোতল বেঁধে রাখছে। কিন্তু অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি এর পরেও ঠেকানো যাচ্ছে না। এমনকী হাসপাতাল আসার পথেও স্যানিটাইজার চুরি হয়ে যাচ্ছে।