রাজীব চৌধুরি, মুর্শিদাবাদ: বহরমপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জল্পনায় আপাতত ইতি। সূত্রের খবর, হাত শিবিরের একাংশের বিরোধিতায় যোগদান সম্ভব হয়নি। যদিও প্রাক্তন চেয়ারম্যান দলবদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব।
ভোটের মুখে শুক্রবার অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা তথা বহরমপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্যও, পুরনো দলে ফিরবেন বলে জোর জল্পনা শুরু হয়। শুক্রবার জেলা কংগ্রেস ভবনে তাঁর উপস্থিতি সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু, আচমকাই যাবতীয় জল্পনায় আপাতত দাঁড়ি পড়ল। সূত্রের খবর, নীলরতন আঢ্যকে দলে ফেরানোয় জেলা কংগ্রেসের একাংশ তীব্র আপত্তি জানায়।
এরপরই এনিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস জানান, বিভিন্ন স্তরে আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে আলোচনাই হয়নি। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের দাবি, তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে কংগ্রেস অফিসে গিয়েছিলেন। বহরমপুর পুরসভার তৃণমূল কর্মী ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্য জানান, ‘‘এদিকে, নীলরতনকে গুরুত্বই দিচ্ছে না তাঁর বর্তমান দল তৃণমূল। মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ও সভাপতি আবু তাহের খান জানান, ‘‘ও তো আমাদের লস্ট কেস, ওর সঙ্গে কেউ নেই, ওকে নিয়ে আলোচনা করতে চাই না ৷’’
মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে নীলরতন আঢ্য একদা অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০০২ সালে প্রথমবার কংগ্রেস থেকে বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান হন তিনি। ২০১৬-তে চেয়ারম্যান থাকা অবস্থাতেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। দলবদলের জেরে পুরসভার দখল নেয় তৃণমূল। ২০১৮ সালে সেই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সূত্রের খবর, ৩৮ বছর ধরে কাউন্সিলর পদে থাকা নীলরতন কিছুদিন থেকেই পুরনো ঘরে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু, পুরনো সতীর্থদের একাংশের বিরোধিতায় তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।