ভুবনেশ্বর: নাবালিকা ধর্ষিতার কাছে ক্ষমা চাইল ওড়িশা পুলিশ। ১৩ বছরের মেয়েটি ধর্ষণের জেরে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে তার গর্ভপাত করাতে হয়। গোটা বিষয়টিতে অভিযোগের আঙুল ওঠে বিরমিত্রপুর থানার ইনস্পেক্টর-ইন-চার্জ (আইআইসি) সহ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে।
নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ২৬ জুন সাসপেন্ড করা হয় আইআইসি-কে। পরে গত বুধবার তাঁকে চাকরি থেকেও বরখাস্ত করেন ডিজিপি অভয়। তিনি ট্যুইট করেন, উনি লজ্জাজনক আচরণ করেছেন। ছোট মেয়েটির কাছে ক্ষমা চাইছি আমরা।
মঙ্গলবার পুরো ঘটনার অপরাধ দমন শাখার পুলিশকে তদন্তের নির্দেশও দেন তিনি। তদন্তের অঙ্গ হিসাবে চার সদস্যের অপরাধ দমন শাখা সুন্দরগড় জেলার বিরমিত্রপুর, রায়বোগা থানা পরিদর্শন করেছে।


পুলিশ বলেছে, চার মাস ধরে মেয়েটিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই ইন্সপেক্টর ও কয়েকজন পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গত ১৫জুন তার বিরমিত্রপুরের কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে গর্ভপাত করান এক সরকারি ডাক্তার।
সুন্দরগড়ের জেলা শিশু সুরক্ষা অফিসারের দায়ের করা অভিযোগনামায় বলা হয়েছে, মেয়েটি ২৫ মার্চ বিরমিত্রপুরের মেলা দেখতে গিয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের জেরে মেলা বাতিল হয়। মেয়েটি বিরমিত্রপুর থেকে বাড়ি ফিরতে না পেরে বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঘোরাঘুরি করছিল। একটি পুলিশ টিমের নজরে পড়ে মেয়েটি। তারা তাকে থানায় নিয়ে আসে। সেখানেই তাকে ইনস্পেক্টর ধর্ষণ করে পরদিন সকালে ছেড়ে দেয়। তারপর থেকে তাকে প্রায়ই থানার ভিতরে ডেকে নিয়ে ইনস্পেক্টর সহ কয়েকজন পুলিশকর্মী ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ। মেয়েটি লাগাতার ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়লে তার গর্ভপাত করানো হয়। পুরো ঘটনায় এফআইআরে অভিযুক্ত করা হয়েছে ইনস্পেক্টর সহ ৬ জন পুলিশকর্মী, ডাক্তার ও মেয়েটির সত্ বাবাকে।