নয়া দিল্লি : বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় (Balasore Train Accident) রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি উঠল বিজেপির অন্দরেই। ট্যুইটারে বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy) লিখলেন, "প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই পদত্যাগ করা উচিত রেলমন্ত্রীর। যোগ্য হোক বা অযোগ্য, প্রধানমন্ত্রী তাঁর মেরুদণ্ডহীন চেলাদের মন্ত্রী করায় বিখ্যাত। তার মূল্য তাঁকে দিতে হচ্ছে। মণিপুর তার আরও একটি উদাহরণ, সেখানেও তাঁর অযোগ্য চেলাকে প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেছেন।" 


 






বালেশ্বর ৩টি ট্রেনের দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতর সংখ্যা হাজারের বেশি। পরিচয়হীন মৃতদেহের স্তূপ জমছে অস্থায়ী মর্গে। প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। ১৬০ জনের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। ভুবনেশ্বর এইমসে ১০০ জনের দেহ রাখা হয়েছে। পরিজনেদের কথা ভেবে মৃতদেহের ছবি তুলে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনাও সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে এখনও রয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি কামরা। সেগুলির মধ্যে আরও দেহ আটকে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না উদ্ধারকারীরা। যদিও উদ্ধারকারী দলের দাবি, অধিকাংশ দেহ এবং যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলি থেকে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ।  


এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, একে একে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন সকলেই। কিন্তু, প্রশ্ন একটাই, এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল কী করে? জনগণের করের টাকায় এত সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি সব গেল কোথায়? বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর উঠছে বড়সড় প্রশ্ন।


জর্জ এলিয়ট লিখেছিলেন, মৃতের ততক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যু হয় না যতক্ষণ না আমরা তাঁদের ভুলতে পারি ।


এই সর্বস্ব হারানো মানুষগুলোতো কোনওদিন তাঁদের প্রিয়জনকে ভুলতে পারবেন না ! কিন্তু, রাজনীতিবিদরা তো আবার দু'দিন বাদে রাজনীতিতে মেতে উঠবেন ! এত বড় দুর্ঘটনার পর, বহু কাঁটাছেড়া, জলঘোলা, বিশ্লেষণ হয়তো হবে। কিন্তু, রাত পেরিয়ে ভোর, ভোর পেরিয়ে সকাল, আবার রাত নেমে আসলেও... দেহ গুনতে থাকার এই বিভীষিকা কি আদৌ ভোলার? প্রশ্ন থেকেই যাবে, দায় কার?