নয়াদিল্লি: মণিপুর হিংসা (Manipur Violence) নিয়ে নীরবতা বজায় রাখায় প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  (Narendra Modi)। লোকসভায় তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে জমা পড়েছে অনাস্থা প্রস্তাবও। সেই আবহেই মোদিকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। নিজের দোষ জানেন বলেই প্রধানমন্ত্র রা কাড়ছেন না, দাবি লালুর। (Lalu Prasad Yadav)


মণিপুর প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়েছে। আগামী সপ্তাহে সেই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হবে। ৮ থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত সময় বরাদ্দ করা হয়েছে তার জন্য। ১০ তারিখে অনাস্থা প্রস্তাবের জবাব দেবেন মোদি। তার আগে তাঁকে আক্রমণ করলেন লালু।


মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন লালু। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দোষী। তাই মুখোমুখি হতে পারছেন না।” ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে হেরে মোদিকে বিদেশে আশ্রয় নিতে হবে বলেও সম্প্রতি মন্তব্য করেন লালু। ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্ড মার্কজের সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন, “দেশের বাইরে আশ্রয় খুঁজছেন (মোদি)। মার্কজের মতো পালাতে হবে ওঁকে। এত পাপ করেছেন উনি...।”


আরও পড়ুন: No Trust Motion: নীরবতা ভাঙানোই ছিল লক্ষ্য! বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে শুরু হচ্ছে আলোচনা, লোকসভায় জবাব দেবেন মোদি


মণিপুর হিংসা নিয়ে লাগাতার সরকারকে বিঁধে চলেছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি বিরোধী জোট INDIA-র বিশেষ প্রতিনিধি দল ঘুরেও এসেছে মণিপুর থেকে। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। রাজ্যপাল  সঙ্গেও দেখা করেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা। কুকি এবং মেইতেই অঞ্চলের ত্রাণশিবিরও ঘুরে দেখেন। সংসদে কেন্দ্রকে বিঁধতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। 


তার আগে, ২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশনের সূচনাপর্ব থেকে মণিপুরের প্রশ্নে দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে সংসদ। কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হন বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী কেন নীরবতা পালন করছেন, জসংসদের প্রধান হিসেবে কেন লোকসভায় দেশবাসীর সামনে মণিপুর নিয়ে বক্তব্য পেশ করছেন না, প্রশ্ন তোলেন সকলে। কিন্তু দফায় দফায় অধিবেশন মুলতবি হলেও, মোদি বিবৃতি প্রকাশ করেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হস্তক্ষেপ করতে চাইলেও, বিরোধীদের দাবি ছিল, শাহ সংসদের প্রধান নন। তাই উত্তর দেওয়ার দায় প্রধানমন্ত্রীরই। 


এর পর গত ২৬ জুলাই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে, বিরোধীদের তরফ থেকে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবও জমা দেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। তাতে সবমিলিয়ে ৫০ জনের সমর্থন প্রয়োজন হয়। ৫০ জনের সমর্থন থাকায় লোকসভার লোকসভার সাংসদ ওম বিড়লা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তবে দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়নি এতদিন। এবার জানা গেল, ৮ থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত সময়সীমা ঠিক হয়েছে।