কলকাতা: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। ২০ টাকা কিলো দরে একসময় যে বাজারে মিলত পেঁয়াজ, তা এখন ভুলতে বসেছে মানুষ। বাড়তে বাড়তে কলকাতার বাজারে ১৫০ টাকা কেজি ছুঁয়েছিল পেঁয়াজ। তামিলমাডুর বাজারে আরও কয়েকধাপ এগিয়ে ২০০ ছুঁল পেঁয়াজের দাম। ফলে ক্রমে ১০ গুণ বৃদ্ধি পেল পেঁয়াজের দর।
রবিবার তামিলনাডুর বিভিন্ন এলাকায় কেজিপ্রতি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। বিক্রেতাদের দাবি, অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জেরে মানুষ কেনাতেই রাশ টেনেছে। যাঁরা এতদিন ৫ কেজি করে পেঁয়াজ কিনতেন, তারা কিনছেন মাত্র ১ কেজি। এই অবস্থায় বিক্রেতাদেরও মাথায় হাত।

পেঁয়াজের দামের আঁচ এবার আদালতে। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের বিরুদ্ধে বিহারের মুজফ্ফরপুর আদালতে মামলা দায়ের হল।
অন্যদিকে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দুর্দশা কাটছে না কৃষকদের। মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে পেঁয়াজ আমদানির পরিকল্পনা করেছে সরকার। তার জেরে আরও বেশি প্রমাদ গুনছেন পেঁয়াজ চাষীরা।
পেঁয়াজের দামের আঁচ পৌঁছেছে সংসদেও।
কিছুদিন আগে পেঁয়াজের মালা পরে সংসদ ভবন চত্বরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। লোকসভার অধিবেশনে পেঁয়াজের দাম নিয়ে অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে।
বুধবার লোকসভায় পেঁয়াজের ফলনে ঘাটতি এবং ক্রমবর্ধমান দাম সম্পর্কে এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন সীতারমণ। সেসময় এক সাংসদ তাঁকে বাধা দিয়ে জানতে চান, “আপনি পেঁয়াজ খান?” জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাঁর পরিবারে রসুন, পেঁয়াজ খাওয়ার চল নেই। তাঁর এই মন্তব্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কংগ্রেস, এবং আক্রমণ শানায় বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে।
নির্মলার মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন পি চিদম্বরমও। রশ্ন ছিল, “অর্থমন্ত্রী গতকাল বললেন তিনি পেঁয়াজ খান না, তো কী খান? অ্যাভোকাডো খান?”