নয়া দিল্লি : বদলে গেছে শৈশবের চাহিদা। বইপড়া বা খেলাধূলার বদলে এখন মোবাইল গেমিংয়ে মন মজেছে শিশুদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে তাদের। কীভাবে শিশুদের আসক্তি দূর করবেন অভিভাবকরা ?
বাবা-মায়ের অর্থে "ডাকাতি"
প্রথম ঘটনা- উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে মাত্র ২ মাসেই ৭ লক্ষ টাকা হারান এক মহিলা। পরে সাইবার ক্রাইম তদন্তে নেমে অবাক করা তথ্য জানায়। মহিলা জানতে পারেন, এই টাকা হাতানোর মূলে রয়েছে তাঁরই ১২ বছরের সন্তান। ভিডিয়ো গেমে উইপন আপডেট করতে গিয়ে মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা হাতায় সে।
দ্বিতীয় ঘটনা- এ ক্ষেত্রেও আশ্চর্যকর ঘটনাটি ঘটে ইউপির ঝাঁসিতে। ললিতপুর কোতোয়ালিতে দেড় লক্ষ টাকা খোয়ান এক ব্যক্তি। পরে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, ভিডিয়ো গেমের উইপন আপডেট করতে এই কীর্তি করেছে তাঁর ছেলে। গেমের স্টেজ শেষ করতে গিয়েই বাবার টাকায় হাত দেয় ছেলে।
তৃতীয় ঘটনা- একই ঘটনা ঘটে ছত্তিশগড়ের কানকেড়ে। তিন মাসে ৩.২২ লক্ষ টাকা হারান এক মহিলা। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে অনলাইন গেমের লেভেল আপগ্রেড করতে গিয়ে এই টাকা হাতায় খোদ তাঁর সন্তান।
মানসিক অসুস্থতা
চিকিৎসকরা বলছেন, অনলাইন গেমিংয়ের মাধ্যমে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। বর্তমানে এই গেমিংয়ের কারণে শিশুদের মানসিক রোগ ২ গুণ বেড়ে গিয়েছে। সারাদিন ভিডিয়ো গেমের আসক্তির ফলে তাদের মাথাব্যথা হচ্ছে। অনেকেরই কম বয়সে চোখের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কারও অনবরত গেমিংয়ের ফলে শরীরেও ব্যথা হচ্ছে। গেমিংয়ের শিকার হচ্ছে ৩-৪ বছরের শিশুরা। এমনকী মোবাইল হাতে না পেলেই হিংসাত্মক হয়ে উঠছে তাদের স্বভাব।
কীভাবে অনলাইন গেমিং থেকে শিশুদের আসক্তি দূর করবেন ?
১ শিশুর সামনে অনবরত মোবাইল ঘাঁটবেন না।
২ আউটডোর গেমসের দিকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে যান। তাদের বাইরে খেলার জন্য উৎসাহ জোগান। এর ফলে অনলাইন গেম থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকবে তারা।
৩ শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান।
৪ শিশুদের নাচ, আঁকা, বই পড়ার দিকে উৎসাহ দিন।
শিশু মোবাইলে আসক্ত হলে কী করবেন ?
১ নিজের মোবাইল পাসওয়ার্ড বদলাতে থাকুন
২ মোবাইল চাইলে শিশুর মন অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিন
৩ প্লে স্টোর থেকে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আনলিঙ্ক করুন।
৪ সময়ে সময়ে শিশুর মোবাইলের দিকে নজর রাখুন।
৫ শিশু মোবাইলে কী অ্যাপ ব্যবহার করছে সেদিকে নজর দিন