স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি রাজেশ ভূষণ বলেছেন, ২৪টি করোনা টিকার এখন নানা পর্যায়ে মানব দেহে পরীক্ষা চলছে, ১৪১টি টিকা রয়েছে তার আগের ধাপে, অর্থাৎ জীবজন্তুর ওপর পরীক্ষা চলছে। কিন্তু চূড়ান্ত ধাপে এখনও পর্যন্ত পৌঁছেছে তিনটি মাত্র টিকা। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট রেগুলেটরের অনুমোদন নিয়ে টিকা তৈরি শুরু করা যেতে পারে। রাজেশ বলেছেন, ভারতের ক্ষেত্রে কাজ চলছে দুটি দেশে তৈরি টিকা নিয়ে। দুটি টিকারই প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে। একটির ক্ষেত্রে ৮টি জয়গায় ১,১৫০ জনের ওপর পরীক্ষা চলছে। অন্যটির জন্য পরীক্ষায় যোগ দিয়েছেন কম করে ১,০০০ জন।
ভারত যেহেতু টিকা তৈরির আন্তর্জাতিক হাব, তাই করোনা টিকা তৈরিতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেব। আর টিকা বিলি করা যাবে ২ ভাবে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক এজেন্সিগুলির এই টিকা তৈরি ও সরবরাহের জন্য একটি ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত। দ্বিতীয়ত, যে সব ব্যক্তির ওপর এই টিকা কাজ করেছে, তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাতে পারে দেশগুলি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি মেকানিজম তৈরি করেছে, যার ফলে করোনা টিকা, রোগ পরীক্ষার কিট, ওষুধ- সবই বিশ্বজুড়ে সব দেশে পাওয়া যাবে।
তবে ভারত এখনও প্রচুর সংখ্যায় টিকা তৈরির জন্য কোনও ওষুধ সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়নি। এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কথা চলছে, সরকার দেখছে, কীভাবে টিকাটি সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। জানিয়েছেন রাজেশ।