মুম্বই: সুশান্ত মৃত্যুর পর প্রথম একমাস একটিও কথা বলেননি অঙ্কিতা। গিয়েছিলেন সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন অভিনেত্রী। সুশান্তের বাবা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার পরই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, সত্যি সামনে আসবেই।
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, “ সুশান্ত এমন মানুষই ছিল না. যে হঠাৎ করে আত্মহত্যা করে ফেলবে। আমরা একসঙ্গে কত ভাল ও মন্দ সময় দেখেছি। আমরা একসঙ্গে খুব খুশি ছিলাম। ”
অঙ্কিতা ও সুশান্তের একটি টেলি-সিরিয়ালের সেটে প্রথম দেখা। তারপর একসঙ্গে অভিনয় করতে করতেই প্রেম। দুজনে সম্পর্কে ছিলেন ৬ বছর।
“আমরা একে অপরকে যতটুকু চিনেছি, তার ভিত্তিতে বলতে পারি, ও একেবারে অবসাদে ভোগার মানুষ নয়। ও নিজের স্বপ্ন লিখে রেখে দিত। ওর একটা ডায়েরি ছিল। আগামী ৫ বছরের পরিকল্পনা ও লিখে রেখেছিল।  ও কী করতে চায়, কেমন দেখতে লাগবে ওকে...ঠিক পাঁচ বছর পর ও স্বপ্নগুলো পূরণ করে দেখিয়েছে। আর সেই মানুষটার নামের সঙ্গে ডিপ্রেশনের মতো শব্দ জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। কী যে খারাপ লাগছে! মন ভেঙে যাচ্ছে। ওর মন খারাপ থাকতে পারে, তা বলে ডিপ্রেশন? কোনও মানুষের বাইপোলার ডিসঅর্ডার আছে বলে মানে বিরাট ব্যাপার। '



এখানেই থামেননি অঙ্কিতা। পুরনো কথা বলতে থাকেন। বলেন, 'সুশান্ত ছোট শহর থেকে আসা ছেলে। নিজের চেষ্টায় দাঁড়িয়েছে। ও আমাকে কতকিছু শিখিয়েছে। অভিনয় শিখিয়েছে। আর কেউ কি জানে, সুশান্ত কে, কেমন ছেলে? সবাই নিজের মতো লিখে চলেছে, ও কতটা অবসাদে ভুগছিল। এসব পড়তে কষ্ট হয়। '

সুশান্ত মৃত্যু নিয়ে বিহার পুলিশ তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যেই ৪০ জনের বেশি মানুষকে সুশান্ত-মৃত্যু তদন্তে জেরা করেছে। এরপর গত ২৮ জুলাই অভিনেতার বাবা বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়।

অঙ্কিতা আরও বলেন, সুশান্ত ছোট ছোট জিনিসেই খুশি হয়ে যেতেন। বলতেন, কিছু না হলে শর্ট ফিল্ম তৈরি করবেন।

সুশান্তের সঙ্গে কাটিয়ে দেওয়া বেশ কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকেই অঙ্কিতার অভিমত, তিনি মোটেই অবসাদে ভুগতেন না। তিনি চান না মানু তাঁকে অবসাদগ্রস্ত বলে মনে রাখুক। 'সুশান্ত আমার কাছে অনুপ্রেরণা', স্মৃতিচারণা অঙ্কিতার।