Rajnath Singh : বিরোধীদের দাবিতে সিলমোহর দিল সরকার। সোমবার অপারেশন সিঁদুর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আলোচনা হতে চলেছে সংসদে। ২৮ ও ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এই আলোচনা। বর্তমান বাদল অধিবেশনের সময় বিশেষ আলোচনার জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভায় ১৬ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই আলোচনায় থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। অন্তত তেমনই বলছে রিপোর্ট।
সূচনা করবেন কে, কারা থাকবেন এই আলোচনায়২৮ জুলাই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং লোকসভায় অপারেশন সিঁদুরের উপর আলোচনা শুরু করবেন। আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য অন্যান্য মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর ও নিশিকান্ত দুবেও উপস্থিত থাকবেন এই আলোচনায়।
এরপর, রাজ্যসভায় অপারেশন সিঁদুরের ওপর আলোচনা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই শুরু হবে যেখানে রাজনাথ সিং, জয়শঙ্কর এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করবেন। রাজ্যসভাও এই বিষয়ে ১৬ ঘণ্টার আলোচনা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উচ্চকক্ষের আলোচনায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন, সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে এই খবর।
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে রাজ্যসভায় কী বলেছে সরকারআজ সকালে রাজ্যসভায় অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কিত একটি প্রশ্নের লিখিত জবাব জমা দিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। এই বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "পাকিস্তান-স্পনসর সন্ত্রাসবাদীদের" একটি "বর্বর" আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় অপারেশন সিঁদুর শুরু করা হয়েছিল। এই অভিযান "সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করার দিকে নজর রেখেই করা হয়েছিল"। তিনি আরও বলেন যে, পাকিস্তান অবশ্য অসামরিক এলাকাগুলির পাশাপাশি সামরিক বেসগুলিকেও টার্গেট করার চেষ্টা করেছিল।
কী বলেছিলেন মন্ত্রীঅপারশন সিঁদুর নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "পাকিস্তানের এই উস্কানিমূলক ও উত্তেজনাকর পদক্ষেপগুলি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী শক্তিশালী ও উল্লেখযোগ্য জবাব দিয়েছিল, যার ফলে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়। পরবর্তীকালে, ১০ মে, ২০২৫-এ পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের ডিরেক্টর জেনারেল ভারতের কাছে গুলিবর্ষণ ও সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ করার অনুরোধ করার জন্য যোগাযোগ করেন, যা পরে সেই দিনই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ভারত। "